অ্যাথলেটস ফুট,Athlete's foot, টিনিয়া পেডিস,tinea pedis,অঙ্কোমাইকোসিস,Onychomycosis, |
‘অ্যাথলেটস ফুট’ (Athlete's foot) বা টিনিয়া পেডিস (tinea pedis) কি?
‘অ্যাথলেটস ফুট’ ( Athlete's foot) একটি ছত্রাকের সংক্রমণ যা সাধারণত পায়ের পাতা থেকে শুরু হয়। এটি সাধারণত এমন লোকদের মাঝে দেখা যায় যারা দিনের বড় একটা সময় টাইট কেডস বাঁ জুতার ভেতরে নিজেদের পা আবদ্ধ রাখে।
একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের আসল সম্পদ হলো তাঁর পা। তাই কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, তাঁরা পায়ের এত বেশি যত্ন নেন যে সেখানে বুঝি কোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে না। কিন্তু না। পেশাজীবী ফুটবলারদের পায়ে ফাঙ্গাস সংক্রমণ বরং অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই দেখা যায়। একবার ১৮টি ইউরোপীয় দেশের ৭৬৪৭৫ জোড়া পা নিয়ে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের ২৬ শতাংশ টিনিয়া পেডিসে (tinea pedis) আক্রান্ত, যা ‘অ্যাথলেটস ফুট’ ( Athlete's foot ) বা ‘খেলোয়াড়দের পা’ নামেই বেশি পরিচিত। অন্য ৩০ শতাংশ পায়ে অঙ্কোমাইকোসিস ( Onychomycosis ) পাওয়া গেছে, যে রোগের ফলে পায়ের নখ ফুলে উঠে বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আরও দেখা গেছে, ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যারা
খেলাধুলা ও ব্যায়াম করে, তাদের পায়ে ফাঙ্গাস সংক্রমণের আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। এর একটি প্রধান কারণ হলো, এরা শরীর ফিটফাট রাখার জন্য যে সব জিমনেশিয়াম, অবকাশযাপন কেন্দ্র বা সুইমিং ক্লাবে যাতায়াত করে, সেগুলো রোগ সংক্রমণের আখড়া। ঘামে ভেজা মোজা, স্যাঁতসেঁতে ও ঈষদুষ্ণ কেডস ফাঙ্গাস বিস্তারের আদর্শ স্থান। ফুটবলারদের ক্ষেত্রে এ আপদগুলো বেশি থাকে। মিলানের একটি সংস্থা ইন্টার ও এসি মিলানের ৫৬ জন খেলোয়াড়ের পায়ের নমুনা টিস্যু পরীক্ষা করে ১৯ জনের (৩৪ শতাংশ) পায়ে ফাঙ্গাস সংক্রমণ পেয়েছে। খেলোয়াড়দের গোসলখানা ও ড্রেসিংরুমগুলোই যে এ সংক্রমণের প্রধান উৎস, তাতে সন্দেহ নেই। তবে আরও কারণ রয়েছে। অনেক কৃতী স্ট্রাইকার তাদের পায়ের বুট জোড়া সহজে বদলাতে চান না। যে বুটের শটে একবার গোল হয়, সেই খেলোয়াড় এক ধরনের সংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে বারবার সেই একই বুট পরে মাঠে নামেন। গোল দেওয়ার সৌভাগ্যই বোধহয় তাদের পায়ে ফাঙ্গাস সংক্রমণের দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন