খাওয়ার পর ঝিমুনি আসে কেন?, Drowsiness after eating. |
খাওয়ার পর ঝিমুনি আসে কেন? Drowsiness after eating.
আমরা অনেক সময় বলি, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ঝিমুনি আসে। তখন দিবানিদ্রা ছাড়া উপায় নেই। আর কোনো কাজ করা সম্ভব হয় না। কথাটা একেবারে মিথ্যা নয়। এটা ঠিক যে দুপুরে আয়েশ করে পেট ভরে খাওয়ার পর সত্যিই একটা ঘুমের ভাব আসে। সে কারণে অনেকে অফিসে দুপুরে ভাত না খেয়ে রুটি খান, যেন ঘুমের আবেশে আক্রান্ত হতে না হয়। কিন্তু ব্যাপারটা কী? ভাত কি সত্যিই ঘুম আনে, আর রুটি ঘুম তাড়ায়?
না, ব্যাপারটা সে রকম নয়। আসলে দুপুর বা রাত বলে কথা নয়। আমরা যখন বেশ পেট ভরে খাই, সেটা দুপুর বা রাত যখনই হোক, সে সময় খাদ্য পরিপাক করার জন্য পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রকে প্রচুর কাজ করতে হয়। অর্থাৎ ওখানকার মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণ ঘটানো, প্রয়োজনীয় এসিড ও অন্যান্য জারক রস নিঃসরণ প্রভৃতি কাজে প্রচুর শক্তি ব্যয় করতে হয়। এ জন্য পেটের দিকে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। বলতে গেলে দেহের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে রক্ত জরুরি তলব পেয়ে পেটে চলে আসে। কারণ, তখন খাদ্য পরিপাক ও খাদ্য থেকে পুষ্টি আহরণ করাই প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় মস্তিষ্কেও রক্ত সরবরাহ স্তিমিত হয়ে আসে। কারণ, বেশিরভাগ রক্ত চলে যায় পেটের দিকে। ফলে ঝিমুনি ভাব আসে। এসব কারণেই ভরপেট খাওয়ার পরপরই হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা উচিত নয়। কিন্তু অল্পস্বল্প খাওয়ার পর তেমন অসুবিধা হয় না। আমরা যেহেতু ভাত খেয়ে অভ্যস্ত, রুটি খেয়ে নয়; সে জন্য দুপুরে রুটি খেলে কমই খাওয়া হয়। আর সে জন্যই দুপুরে রুটি খেলে ঝিমুনি ভাবটা কম থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন