মোবাইল ফোনে কতটা ক্ষতি হয়?, Health risk of Mobile phone |
মোবাইল ফোনে কতটা ক্ষতি হয়? - Health risk of Mobile phone
মোবাইল ফোন খুব কাজের, কিন্তু একটি অসুবিধা। শোনা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে নাকি ব্রেইনের ক্ষতি হয়। মাথাধরা, বিষন্নতা, স্মৃতিবিলোপ, এমনকি ব্রেইন ক্যান্সারও নাকি হতে পারে! সেলুলার ফোনের প্রচলন শুরু হওয়ার পর ২০-২৫ বছর ধরেই এ রকম একটি কথা বাজারে শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে মতভেদ আছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষতি তেমন হয় না; বরং কিছু লাভ আছে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালান প্রিস ও তার সঙ্গীরা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে গবেষণা করেন। মোবাইল ফোন যে ধরনের মাইক্রো ওয়েভ বিকিরণ ঘটায়, ঠিক সে ধরনের বিকিরণ পরীক্ষাধীন কিছু লোকের মস্তিষ্কে প্রথমে প্রবাহিত করা হয়। এ জন্য ঠিক মোবাইল ফোনের মতো দেখতে একটি হেডফোন কানের সঙ্গে লাগিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সেই হেডফোনে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিগন্যালের সমান শক্তি ও ফ্রিকোয়েন্সিবিশিষ্ট সিগন্যাল পাঠানো হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা এই পরীক্ষা চালানো হয়। আরেক দল লোকের মাথায় হেডফোন লাগানো হয়, কিন্তু সিগন্যাল পাঠানো হয় না। কার মাথায় সিগন্যাল যাচ্ছে, কার যাচ্ছে না; সেটা তারা জানে না। এরপর তাদের ব্রেইন ফাংশন পরীক্ষা করে দেখা যায়, সব স্বাভাবিক। উপরন্তু যাদের মাথায় মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল, তাদের চয়েস রিঅ্যাকশন টাইম’ অর্থাৎ কম্পিউটার স্ক্রিনে কোনো নতুন শব্দ চিনে প্রতিক্রিয়া প্রকাশের সময় চার শতাংশ উন্নত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। এটা কেন হয়, বলা মুশকিল। হয়তো মাইক্রোওয়েভ চালনায় সৃষ্ট সামান্য তাপ মস্তিষ্কে কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া অথবা রক্ত সঞ্চালন দ্রুততর করে। তাই সাধারণভাবে বলা যায়, মোবাইল ফোন ব্যবহারে তেমন ভয় নেই। অবশ্য আলোচ্য পরীক্ষাটি মাথায় মাইক্রোওয়েভের মাত্র আধ ঘণ্টার ক্রিয়ার ফলাফল। ২৪ ঘণ্টা মোবাইল ব্যবহারের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আরও গবেষণা হচ্ছে। এখন এটুকু বলা যায় যে মাথায় মাইক্রোওয়েভ চালনায় বা মোবাইল ফোন ব্যবহারে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষতি হয় না। তবে সম্প্রতি আরেক দল গবেষক দেখেছেন, মোবাইল ফোনের চারপাশে যে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয় তা শিশু কিশোরদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য অনেকে মোবাইল ফোন সরাসরি কানে দিয়ে মাইক্রোফোন দিয়ে শোনেন ও আলাদা মাউথ পিসে কথা বলেন। ধারণা করা হয় এতে ক্ষতির আশঙ্কা কম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন