মেটাল ডিটেক্টর কীভাবে কাজ করে?,How does a metal detector work? |
মেটাল ডিটেক্টর কীভাবে কাজ করে? - How does a metal detector work?
দেশে বোমা ও আত্মঘাতী হামলার ঘটনাগুলোর পর বিভিন্ন অফিস-আদালত, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার জন্য মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা মূলত বৈদ্যুতিক সংকেত আদান-প্রদানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে। সাধারণত ভিএলএফ (ভেরি লো ফ্রিকোয়েন্সি) প্রযুক্তিই বেশি ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্রের ভেতরে রয়েছে দুটি তারের কুণ্ডলী। বাইরের দিকে থাকে একটি ট্রান্সমিটার কয়েল (তারের কুণ্ডলী) আর ভেতরের দিকে থাকে রিসিভার কয়েল। ট্রান্সমিটার কয়েলের কাজ হলো এর তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিচালনা করা। একবার একদিকে আর এর পরক্ষণেই বিপরীত দিকে বিদ্যুৎ চালনা করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজারবার বিদ্যুৎ পর্যায়ক্রমে দুই বিপরীত দিকে চলতে থাকে। কয়েলের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে তার চারপাশে একটি বিদ্যুৎ চুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়। প্রতিবার বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চুম্বকক্ষেত্রের মেরুও পরিবর্তিত হয়। এখন চুম্বকীয় বলরেখাগুলো কোনো ধাতব পদার্থে বাধা পেলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই পরিবর্তন রিসিভার ট্রান্সমিটার কয়েলে ধরা পড়ে এবং সে তাকে বর্ধিত করে পিপপিপ শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এ জন্যই মেটার ডিটেক্টরের আর্চওয়ে দিয়ে যাওয়ার আগে পকেটের চাবি, মোবাইল ফোন, কয়েন বা ধাতব পদার্থের জিনিসপত্র আর্চের বাইরে একটি পাত্রে রেখে গেট অতিক্রম করতে হয়। এর পরেও সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে, তখন হাতে ব্যবহারযোগ্য মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা হয় সেই সিগন্যাল কি ছোটখাটো কোনো ধাতব বস্তুর জন্য এসেছে নাকি ওই ব্যক্তি শরীরে লুকিয়ে কোনো বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন