পূর্বের পর্ব - বিভিন্ন রং এৱ ৱহস্য – The Mystery of Colours (Bengali)
আলোক বর্ণালী, রৈখিক বর্ণালী, Light spectrum, Line Spectrum |
প্রিজম-এর সাহায্যে বা অন্য কোনো উপায়ে সাদা আলোকে ভাঙলে যে বর্ণচ্ছটা পাওয়া যায় তাকে বলে বর্ণালী বা spectrum। যে কোন ঘন পদার্থ গরম হয়ে যখন সাদা আলো দেয় তখন সেই সাদা আলোটার বর্ণালী তুললে তাকে একটানা দেখতে লাগে এক রং-এর আলো তার পাশের রং এর আলোর মধ্যে গিয়ে মিশেছে, মাঝখানে কোনো দাগ-টাগ নেই। কিন্তু বায়বীয় পদার্থ জ্বলন্ত অবস্থায় থাকলে তার থেকে যে-বর্ণালী পাওয়া যায় তা ও-রকম একটানা নয় : তার বদলে যেন কয়েকটা রেখার সমষ্টি। তাই একে বলে রৈখিক বর্ণালী বা line spectrum। তা ছাড়া, বিভিন্ন বায়বীয় পদার্থের কাছ থেকে পাওয়া যে-সব বর্ণালী সেগুলোও কিন্তু রকমারিই অর্থাৎ রেখার সংখ্যা, রং বা সাজানোর ছন্দ—নানান দিক থেকে তাদের মধ্যে নানান রকম তফাত আছে। তাই আলোর বর্ণালী বিচার করেই বলে দেওয়া যায় যে-জিনিস থেকে আলোটা আসছে সেই জিনিসটি আসলে কী পদার্থ। যেমন ডাক শুনেই বোঝা যায় গাধা না ঘোড়া!
বায়বীয় পদার্থের আবার একটা মজা আছে। মজাটা হলো রং চুষে খাবার মজা। যেমন ধরো, বায়বীয় অবস্থায় থাকলে সোডিয়াম যে-আলো দেয় তার বর্ণালী হলো দুটি হলদে রেখা। কিন্তু সাদা আলো যদি সোডিয়াম গ্যাসের ভেতর দিয়ে পাঠানো হয় তাহলে সাদা আলোর বর্ণালীর হলদে অংশটা থেকে সোডিয়ম গ্যাস ওই রকম দুটি দাগের মতো পরিমাণ হলদে আলো হজম করে নেবে, তাই শেষ পর্যন্ত বর্ণালীর হলদে অংশে পাওয়া যাবে দুটো কালো দাগ। জ্যোতির্বিজ্ঞানের বই পড়ার সময় জানতে পারবে এই বর্ণালী বিচার থেকে কেমন করে জেনে ফেলা যায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মাইল দূরের নক্ষত্রর মধ্যেও ঠিক কোন ধরনের পদার্থ রয়েছে।
পরের পর্ব - ডপলার এফেক্ট – Doppler effect
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন