পূর্বের পর্ব - আলো ও আলোর প্রতিফলন - About Light and it’s reflection
![]() |
আলোর প্রতিসরণ,Refraction of light |
আলোর প্রতিসরণ – Refraction of light
এইবারে আয়না রেখে দিয়ে একটা পুরু কাঁচ নাও আর ওই আলোর ফালিটার ওপর কাঁচটাকে ধরো। কাঁচের ওপর পড়ে আলোর রেখাটা দুভাগে ভাগ হয়ে যাবে—একটা ভাগ কাঁচের গা থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাবে আর একটা ভাগ ঢুকে পড়বে পুরু কাঁচটার ভেতর। যে-রেখাটা কাচের ভেতর ঢুকে পড়বে সেটা কিন্তু বেঁকে যাবে, কোন্ দিক বরাবর যে বেঁকে যাবে তা ছবিটা থেকে বুঝে নাও। তারপর এই আলোর রেখাটা কাঁচের দিকের গা থেকে বেরুবার সময় আবার দুভাগে ভাগ হয়ে যাবে : একটা ভাগ কাঁচের নিচের দিককার গা থেকে প্রতিফলিত হয়ে যাবে আর অন্য ভাগটা বেরিয়ে আসবে বাইরের বাতাসের মধ্যে। বাতাসের মধ্যে বেরিয়ে আসবার সময় রেখাটা আবার বেঁকে যাবে, কিন্তু এইবার বাঁক নিবে আগেকার উলটো দিক বরাবর। ছবিতে সব ব্যাপারটাই আঁকা হলো। একটা খুব জোরালো টর্চ নিয়ে অন্ধকার ঘরে কাচের পাত্রে পানি ভরে তার ওপর আলো ফেলে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখো, আলোর রেখার গতিপথ আরো স্পষ্টভাবে চিনতে পারবে।
এই ধরনের পরীক্ষা থেকেই বুঝতে পারা যায় যে আলো যখনই কোনাকুনিভাবে একটা জিনিসের ভেতর থেকে অন্য জিনিসে ঢোকে তখনই আলোর পথ-বদল হয়ে যায়। যদি দ্বিতীয় জিনিসে আলোর গতি প্রথমটির চেয়ে কম হয় তাহলে আলোটা বেঁকে যায় লম্বর দিকে, দ্বিতীয় জিনিসটিতে আলোর গতি যদি প্রথমটির চেয়ে বেশি হয় তাহলে আলোর পথ বেঁকে যায় লম্বর বিপরীত দিকে। পানির ভেতর দিয়ে যখন আলোটা চলেছে তখন আলোর গতি পানি থেকে বেরিয়ে বাতাসের মধ্যে দিয়ে যাবার সময়কার গতির চেয়ে কম—তাই পানির মধ্যে ঢোকার পর আলো লম্বর দিকে বেঁকে গেলো, পানি থেকে বেরিয়ে বেঁকে গেলো লম্বর উলটো দিকে। আলোর এই যে পথ-বদলঃ বিজ্ঞানের ভাষায় এরই নাম হলো তির্যক-গমন বা refraction.
পরের পর্ব - আলো ভেঙে দেখা - Prism and light refraction
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন