শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১

খাওয়ার পানির অভাব ও সমাধান - Scarcity of drinking water and its solution

 

খাওয়ার পানির অভাব ও সমাধান,Scarcity of drinking water and its solution

খাওয়ার পানির অভাব ও সমাধান - Scarcity of drinking water and its solution

খাওয়ার পানি মরুভূমিতে দুষ্প্রাপ্য দুর্মূল্য, অথচ পৃথিবীপৃষ্ঠের চার ভাগের তিন ভাগই সাগর বা নদীনালার পানিতে ভরা মুশকিল হলো, এর মাত্র আড়াই শতাংশ খাওয়ার পানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়; বাকি সব পানি লবণাক্ত যদি সহজ উপায়ে সমুদ্রের পানি লবণমুক্ত করা যেত, তাহলে আর পানির সঙ্কট থাকত না প্রাকৃতিক উপায়ে সমুদ্রের পানি বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়, মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে আসে খাওয়ার জন্য সে পানি ব্যবহার করা কঠিন বিশেষ প্লান্টের মাধ্যমে সমুদ্রের পানিকে খাওয়ার উপযোগী করা যায় কিন্তু জন্য তাপের সাহায্যে পানি বাষ্পীভূত করতে হয় এতে প্রচুর টাকা খরচ হয় রকম এক ঘনমিটার পরিশ্রুত পানির দাম পড়ে প্রায় এক ডলার অর্থাৎ এক হাজার লিটার পানির দাম প্রায় ৫২ টাকা, বাংলাদেশে ওয়াসার দর অনুযায়ী যার দাম এখন সাড়ে পাঁচ টাকা তাই সস্তায় সমুদ্রের পানি পরিস্রুত করার নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে জন্য জীবকোষ যে বিপরীত অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় বাইরের পানি শুষে নেয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণের চেষ্টা চলছে একটি লম্বা নলের মুখে আধাপ্রবেশ্য পর্দা (সেমি পারমিয়েবল মেমব্রেন) লাগানো হয় এরপর সেই নল সমুদ্রের গভীরে ঢুকিয়ে রাখলে উপরের পানির চাপে বিপরীত অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লবণমুক্ত পানি নলে ঢুকবে

ফিল্টার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করার জন্য প্রথমে সমুদ্রের পানি ছেকে এবং রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে জীবাণুমুক্ত করে তারপর এই নলের সাহায্যে লবণমুক্ত পানি শুষে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় প্লান্টের ডিজাইনারদের মতে, লম্বা নলবিশিষ্ট এসব যন্ত্র স্থাপনে ব্যয় কম; কারণ বেশি অনুভূমিক এলাকার প্রয়োজন হয় না এই প্লান্ট হবে ১২০ মিটারের বেশি উঁচু, যার বেশিরভাগই থাকবে পানির নিচে এই প্লান্টে উৎপাদিত সুপেয় পানির দাম পড়বে প্রায় ২৩ টাকায় এক হাজার লিটার এটাও কিন্তু কম দাম নয় রকম প্লান্ট এখনো চালু হয়নি বাজার যাচাই করে রকম প্লান্ট তৈরির চিন্তা রয়েছে  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন