টেকঅফ ও ল্যান্ডিঙের সময় প্লেনে বাতি বন্ধ থাকে কেন? Why do Planes Dim the Lights during Takeoff and Landing |
টেকঅফ ও ল্যান্ডিঙের সময় প্লেনে বাতি থাকে না কেন? Why do Planes Dim the Lights during Takeoff and Landing
এরোপ্লেনে যাতায়াতের সময় অনেকেই হয়তো লক্ষ করেছেন, প্লেনের মধ্যে সব সময়ই ঝলমলে আলো থাকে; কিন্তু টেকঅফ (মাটি থেকে ওঠা) ও ল্যান্ডিংয়ের (মাটিতে নামা) সময় প্লেনের ভেতরে সামান্য কিছু আলো রেখে বাড়তি আলো সব নিভিয়ে দেওয়া হয়। এই দুটি সময়ে যাত্রীদের যার যার আসনে বসে সিটবেল্ট বাঁধতে এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। শেষ দুটি নির্দেশের কারণ সহজেই বোঝা যায়। টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় হঠাৎ ঝাকুনি লাগতে পারে। এতে কেউ উল্টে পড়ে যেতে পারেন, কারও মুখের সিগারেট ছিটকে পড়ে আগুন লেগে যেতে পারে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সিটবেল্ট বাধা বা সিগারেট না-খাওয়া দরকার। আজকাল অবশ্য প্লেনের ভেতর সিগারেট পান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ব্যাখ্যা আমরা সহজেই বুঝতে পারি। কিন্তু লাইট নেভানো হয় কেন? এর কারণ হলো, টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় প্লেনকে অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করতে হয়। এই বাড়তি শক্তির নিরবচ্ছিন্ন জোগান দিতে বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন। প্লেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে জেনারেটর থাকে। এ ছাড়াও একটি অক্সিলারি পাওয়ার ইউনিট থাকে, যা প্রয়োজনে সুইচ অন করে বিকল্প জেনারেটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্লেন টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের জটিল (ক্রিটিক্যাল)
সময়ে কোনো কারণে একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে সেই সঙ্গে একটি জেনারেটরও বন্ধ হয়ে যাবে। এই জটিল সময়ে যেন চট করে বিদ্যুতের জোগান দেওয়া যায়, তার অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে সে সময় প্লেনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর লোড বা চাপ যথাসম্ভব কম রাখা দরকার। সে কারণেই ওই দুটি বিশেষ সময়ে প্লেনের ক্যাবিনের বেশিরভাগ বাতি কিছু সময়ের জন্য নিভিয়ে রাখা হয়। এটা সাময়িক। প্লেন আকাশে উঠে গেলে বা মাটিতে নেমে গেলে আবার ক্যাবিনের সব বাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন