রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১

ক্যালকুলেটরের ইতিহাস ও কার্যপদ্ধতি – Calculator - History and how it works

ক্যালকুলেটরের ইতিহাস ও কার্যপদ্ধতি,Calculator-History and how it works,ক্যালকুলেটর কে আবিষ্কার করেন

ক্যালকুলেটরের ইতিহাস ও কার্যপদ্ধতি Calculator  - History and how it works

প্রথম ক্যালকুলেটর কে তৈরি করেছিলেন?

এখন তো সর্বত্রই ক্যালকুলেটর আমাদের চোখে পড়ে কিন্তু প্রথম ক্যালকুলেটর কে কবে তৈরি করেছিলেন? প্রথম ক্যালকুলেটর কেউ তৈরি করেন নি সেটা মানুষ পেয়েছিল তার জন্মসূত্রে অর্থাৎ প্রথম ক্যালকুলেটর হচ্ছে মানুষের দুহাতের দশ আঙুল এখনও গোনার কাজে আমরা আঙ্গুল ব্যবহার করে থাকি সম্ভবত দশ আঙুলের ব্যবহার থেকেই আদিকালে থেকে এবং এই দশটি অংকের চলন হয়েছিল ভারতবর্ষে তারপর থেকে এই সংখ্যা-পদ্ধতি সারা পৃথিবীর মানুষ আজও ব্যবহার করে চলেছে, যার পোশাকী নাম হলো ডেসিম্যাল নাম্বার বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি

প্রথম মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর কে আবিষ্কার করেছিলেন?

১৬৪২ সালে মাত্র উনিশ বছর বয়সে প্রখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Blaise Pascal) ধাতব যন্ত্রাংশ, অর্থাৎ গিয়ার, পিনিয়ন ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রথম ক্যালকুলেটর তৈরি করেন তার যন্ত্রের নাম ছিল টুথড হুইলস আবার কেউ কেউ একে প্যাস্কালাইন বলতো এই যন্ত্রে শুধুমাত্র যোগ বিয়োগ করা যেতো পরে ১৬৭১ সালে পাস্কালের যন্ত্রকে উন্নত করেন জার্মান গণিতবিদ গটফ্রিড উইলহেম লিবনিজ (Gottfried Wilhelm (von) Leibniz) এবং ১৬৯১ সালে নিজের নকশা ব্যবহার করে তিনি তৈরি করেন নতুন ক্যালকুলেটর রেকনিং মেশিন যোগ-বিয়োগ ছাড়াও এই যন্ত্রে গুণন করা যেতো পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর আরো উন্নত হয় ১৮৮৭ সাল নাগাদ উইলিয়াম সিওয়ার্ড ব্যারোজ ব্যবসায়িক কাজের পক্ষে উপযুক্ত একটি ক্যালকুলেটর উদ্ভাবন করেন এই যন্ত্রটি শুধু যে সেই সময়ে জনপ্রিয় ছিল তা নয়, আজকের ইলেকট্রনিক যুগেও এই ধরনের মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর একেবারে অচল হয়ে যায়নি

ক্যালকুলেটরের ডায়ালে যে সংখ্যা ফুটে ওঠে তাদের ডিজিট বা অংকের চেহারা বিচিত্র ধরনের কেন?

ক্যালকুলেটরে যে টি ডিজিট বা অংক ফুটে ওঠে তাদের প্রত্যেকটি , , , , , , , এবং এই দশটি অংকের মধ্যে যে-কোনো একটি হতে পারে সুতরাং প্রতিটি ঘরে থেকে পর্যন্ত দশটি অংকেরই ফুটে ওঠার ব্যবস্থা থাকা চাই এই কারণেই অংকগুলোকে সেভেন সেগমেন্ট ডিসপ্লে পদ্ধতিতে ফুটিয়ে তোলা হয় সেভেন সেগমেন্ট ডিসপ্লে পদ্ধতিতে প্রতিটি অংকের জন্য সাতটি সরলরেখা ব্যবহার করা হয় সাতটি রেখার সবকয়টিকে ব্যবহার করে তৈরি করা হয় অংকটি পাঁচটি রেখা ব্যবহার করে অংকটি লেখা হয় রকম বিভিন্ন সংখ্যক রেখা ব্যবহার করে অতি সহজে থেকে পর্যন্ত অংকগুলো লিখে ফেলা যায় এই পদ্ধতিতে তবে সব কয়টি অংক সরলরেখার টুকরো দিয়ে লেখার ফলে অংকগুলোর চেহারা বিচিত্র ধরনের হয় ক্যালকুলেটরে সাতটি সেগমেন্ট বা রেখা তৈরি করা হয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে লম্বা ধরনের ছোট ছোট আলো জ্বেলে, যাদের নাম লাইট এমিটিং ডায়োড বা সংক্ষেপে এল ডি, কিংবা কালো কালো রেখা দিয়ে যাকে বলা হয় লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে বা এল সি ডি বিশেষ বিশেষ অংক লেখার জন্য বিশেষ বিশেষ রেখাগুলো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সৃষ্টি করতে হয় তবে রেখা ছাড়াও ছোট ছোট বিন্দু ব্যবহার করে বিভিন্ন অংক বা অক্ষর ফুটিয়ে তোলা হয় এই পদ্ধতিকে বলা হয় ডট ম্যাট্রিক্স ডিসপ্লে' সেভেন সেগমেন্ট বা ডট ম্যাট্রিক্স পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে ক্যালকুলেটরের একটি অংকের জায়গায় থেকে পর্যন্ত দশ অংকই সরু সরু গ্যাস টিউব দিয়ে লেখা থাকতো এক একটি অংক লেখার জন্য এক একটি টিউব ব্যবহার করা হতো

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন