শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

বল-পয়েন্ট পেন আবিষ্কারের কাহিনী - The story of the discovery of the ball-point pen

বল-পয়েন্ট পেন আবিষ্কারের কাহিনী,The story of the discovery of the ball-point pen

 
বল-পয়েন্ট পেন আবিষ্কারের কাহিনী - The story of the discovery of the ball-point pen

প্রায় আশি বছর আগে বলপয়েন্ট পেনের প্রথম নমুনা (Model) পেটেন্ট করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৪৩ সালের আগেও বল-পয়েন্ট পেনের কোনো সাফল্যজনক উন্নতি ঘটেনি। প্রধানত আমেরিকার বিমানবাহিনীই এর উন্নতি সাধনের মূলে। বিমানবাহিনী দাবি জানিয়েছিল যে, তাদের এক বিশেষ ধরনের পেন চাই যা বিমান উড্ডয়নকালে বিমানের চালকেরা ব্যবহার করতে পারে। তাদের এমন এক পেন চাই যা বিমানের বিভিন্ন উচ্চতায় বায়ুচাপ কমে গেলেও কালি উপচে দেবে না। এরকম পেন একমাত্র বল-পয়েন্ট পেনই হতে পারে। তাই এই দাবি পেশ হওয়ার পরপরই অতিদ্রুত বল-পয়েন্ট পেনের উন্নতি সাধিত হয়। পরবর্তী সময়ে পেন এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে জনসাধারণও এর ব্যবহার শুরু করে।

বল-পয়েন্ট পেনের একটা ধাতব অথবা প্লাস্টিকের তৈরি ফাপা দেহ থাকে। থাকে একটা ক্যাপ বা টুপি। এছাড়া স্প্রিংসহ একটা কালিভরা-রিফিল ঢুকানো থাকে। রিফিলের একমাথায় থাকে একটি ছোট পিতলের বল। এই বলটি হল লেখ-বিন্দু (Writing point) ক্যাপটি এই লেখ-বিন্দুকে নিয়ন্ত্রণ করে। স্প্রিংটির কাজ হল লেখ-বিন্দুকে উপরে-নিচে সরতে সাহায্য করা। রিফিল সাধারণত পলিথিনের তৈরি হয় এবং কালি দিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়।

বল-পয়েন্ট পেনে যে-কালি ব্যবহৃত হয় তা যথেষ্ট ঘন এবং বিশেষ পদ্ধতিতে তা তৈরি। ঘন হওয়ায় কালি অন্য কোথাও দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে না বা উপচে পড়ে না। অথচ কালির প্রবাহ হয় মসৃণ এবং তার ফলে এই পেনের সাহায্যে অখণ্ড লাইন আঁকা যায়। বল-পয়েন্ট পেন অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। লেখার সময় চোষ-কাগজ (Blotting paper) কিংবা দোয়াতের প্রয়োজন হয় না। পেন দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি লেখা যায়। এর কালি কাগজের উপর উপচে পড়ে না। এর দ্বারা লিখিত শব্দগুলো পানিতে ধুয়েমুছে যায় না। পেনের আবার কিছু অসুবিধাও আছে। ঝর্না পেনের (Fountain pen) মতো মোটা কিংবা সরু দাগ কলম কাটাতে পারে না। পেন দিয়ে লেখার সময় বেশি চাপ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় বলে হাতের আঙুল তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

 MARUF

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন