লুই পাস্তুর,রেশম পোকার রোগ,Louis Pasteur,Diseases of silkworms |
লুই পাস্তুর ও রেশম পোকার রোগ - Louis Pasteur and Diseases of silkworms
পাস্তুরই প্রথম প্রমাণ করেছিলেন, কোনো জিনিস পচে যাওয়া বা গেঁজে যাওয়ার মূলে রয়েছে আসলে অতি ছোট ছোট জীবাণু। কোনো তরল জিনিস থেকে যদি সব জীবাণু নষ্ট করে ফেলা যায় আর সেটা রাখা হয় জীবাণুমুক্ত হাওয়ার সংস্পর্শে তা হলে তা আর পচবে না। সেকালের রসায়নবিদরা তার একথা মানতে চাইলেন না। বিশ বছর ধরে তারা তুমুল বিতর্ক চালিয়ে গেলেন তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাস্তুরেরই জিত হল।
এদিকে এর মধ্যে তার দুই ছেলে মারা গিয়েছে টাইফয়েড রোগে। এক মেয়ে মারা গিয়েছে কলেরা হয়ে। নানা ধরনের রোগ কেন হয় তা নিয়ে পাস্তুর গবেষণা শুরু করলেন। তিনি আবিষ্কার করলেন, এসব রোগের গোড়ায় রয়েছে নানারকম অতি ছোট ছোট জীবাণু। তিনি ভাবতে লাগলেন, এই জীবাণুদের কি কোনো কিছু করে কাবু করা যায় না! এই সময় একদিন তার কাছে এলেন পুরনো শিক্ষক দুমা। দুমা বললেন, দক্ষিণ ফ্রান্সে রেশম চাষে মড়ক লেগেছে। এক রহস্যজনক রোগে গুটিপোকা মারা যাচ্ছে হাজারে হাজারে। প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ টাকার রেশম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেসব জায়গার চাষিদের ঘরে ঘরে হাহাকার।।
পাস্তুর রেশমের গুটিপোকা আর তুত গাছের পাতা নিয়ে পরীক্ষা করতে লাগলেন।
২৪ ঘন্টার মাঝেই তিনি আবিষ্কার করলেন এগুলোও জীবাণুরই কাজ। আক্রান্ত মথ গুলোর
ডিমের ভেতরেও এই জীবাণু পেলেন। এই জীবাণু গুলো নতুন বাচ্চা মথ গুলোকেও আক্রমন করে।
এদের শরীর থেকে নির্গত রস গুলো তাদের খাদ্য পাতা গুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। লুই পাস্তুর,রেশম পোকার রোগ,Louis Pasteur,Diseases of silkworms
অবশেষে তিনি বললেন, এই জীবাণুকে কাবু করতে হলে রোগাক্রান্ত গুটিপোকা আর তুঁত গাছ সব পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আবার ভাল গুটিপোকা আর তুত গাছ দিয়ে শুরু করতে হবে চাষ। তার কথামতো কাজ করে ফ্রান্সের রেশম চাষীদের কোটি কোটি টাকার রেশম শিল্প রক্ষা পেল।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন