মৌলসমূহের নামকরণ,অণু ও পরমাণুর গল্প,saroj kanti singh hazari,সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী |
মৌলসমূহের নামকরণ – অণু ও পরমাণুর গল্প – ৭ এসকেএস হাজারী - Naming of elements – Story of Atoms and Elements – 7 – SKS Hazari
নামে কি আসে যায়? গোলাপ ফুলকে যে নামে ডাকো না। কেন, তা ঠিকই সৌরভ বিলাবে। কথাটি বলেছেন এক বিখ্যাত ব্যক্তি। সুতরাং খুবই দামী কথা। তবে কথাটি ভুল।
একটি অবস্থা চিন্তা করতো। জন নামে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ হয়েছে। সান্ত্রীরা তাকে না পেয়ে সেই বিখ্যাত লোককে ধরে আনলো। তখন তিনি বললেন, আরে আমার নাম জন নয়, আমার নাম শেক্সপিয়ার।
তখন সান্ত্রীরা বলবে, আপনিই তো বলেছেন “নামে কি আসে যায়?”
গল্পের কথা বাদ দাও। পরীক্ষায় প্রশ্ন আসলো পারমাণবিক সংখ্যা-১১ বিশিষ্ট মৌলের নাম কি? তুমি “সোডিয়াম ছাড়া অন্য যে কোন নাম লিখলে পাবে শূন্য। পরীক্ষককে উপরোক্ত আপ্ত বাক্য শুনিয়ে কোন লাভ হবে না।
আসলে নামই সব। নামের জন্য কতোজন কতো কি করে? গিনিস বুকে নাম উঠানোর জন্য কেউ নখ লম্বা করে; কেউ বহু সাপের সাথে দীর্ঘসময় যাপন করে; কেউ হিমালয়ে উঠে; আবার কেউ প্যারাসুট ছাড়া প্লেন হতে লাফ মারে; কেউ সকল আমোদ আহ্লাদ বাদ দিয়ে গবেষণায় মেতে থাকে। এরা অবশ্য নিজের মেধা বা সাহসের উপর ভর করে এসব করে। অন্য কিছু লোক করে তাদের ক্ষমতার দাপটে।
প্রত্যেক দেশেই নিয়ম আছে- সে দেশের এমনকি অন্য দেশের বিখ্যাত লোকদের নামে বিভিন্ন বন্দর, স্থান, সড়ক প্রভৃতির নামকরণের। সে সাথে আরেকটি নিয়ম মানা হয়। যিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকেন, তাঁর নামে এ ধরনের নামকরণ করা হয় না। কেননা; তাঁর অর্থ হচ্ছে নিজের নাম নিজে দিয়ে নিজেকে সম্মান দেখানোর ভড়ং করা। সম্মান অন্যদের থেকে অর্জন করতে হয়। তবে তৃতীয় বিশ্বের অনেক স্বঘোষিত নেতা জানে, লোকে তাদের ক্ষমতাকে ভয় করে, তাদেরকে সম্মান করে না; সুতরাং তাদের ক্ষমতাচ্যুতির পরে কেউ এ ধরনের নামকরণ করবে না। তাই তারা ক্ষমতায় থাকা কালেই তাদের তল্পীবাহক দ্বারা এ ধরনের নামকরণ করিয়ে নেয়। বাংলাদেশের কথাই ধরো। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকা কালে তৈরী হলো “এরশাদ আর্মী ষ্টেডিয়াম”। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে তা হয়ে গেল বাংলাদেশ আর্মী ষ্টেডিয়াম। একইভাবে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মহিলা হলের নামকরণ হলো “খালেদা জিয়া হল।” তবে সবচেয়ে নিলর্জ ব্যাপার হচ্ছে সম্ভবতঃ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার অর্থাৎ জনগণের পয়সায় বাস কিনে দিয়ে, তাতে বড় বড় করে লিখে দেওয়া, “বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের দান”, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” বা “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দান।” যদি শুধু প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী লেখা থাকত, তাহলে বলার কিছু ছিলনা; কিন্তু যেভাবে লেখা হলো, তাতে মনে হয় এরশাদ, শেখ হাসিনা বা খালেদা তাদের নিজেদের পকেট থেকে পয়সা দিয়ে এ সকল বাস কিনে দিয়েছেন। আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে - এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে বাসগুলিতে তার নাম মুছে ফেলে লেখা হলো “প্রেসিডেন্টের দান।” খুব ভালো কাজ হলো।
রাজনীতিবিদদের কথা বাদ দাও। সাধারণ লোকদের কথায় আসি। দুজনের নাম একই হলে অনেক সময় বিপত্তির কারণ ঘটে। যেমন স্কুলে আমার ক্লাসে সরোজ নামে আরেক ছাত্র ছিলো-একটু দুষ্ট প্রকৃতির। একবার এক অনুষ্ঠানের পরে আমি ফুলদানি ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। হেডমাষ্টারের সামনে পড়লো সেই সরোজ; তাকে দোষী মনে করে হেডমাষ্টারের বেত পড়লো তার পিঠে। এর থেকেও বড় বিপত্তি ঘটতে পারে। এক John এর ফাঁসির আদেশ হলো, কার্যকর হলো আরেক John এর। অবশ্য মানুষ তো কথা বলতে পারে, এ ধরনের ঘটনায় তারা প্রতিবাদ করতে পারে। বিভিন্ন বস্তুর ক্ষেত্রে তো তা সম্ভব নয়। সুতরাং তাদের নামের ক্ষেত্রে দেখা প্রয়োজন - দুটো বস্তুর যেন একই নাম না হয়, এবং একই বস্তুরও যেন বিভিন্ন নাম না হয়।
একটা উদাহরণ দেইঃ বহুদিন আগে জার্মানীতে এক দোকানে যেয়ে বললাম, কিছু উপহার কিনতে চাই। তখন জার্মান ভাষা ভালো জানতাম না, মাঝে মাঝে কিছু ইংরেজী শব্দের সাহায্য নিতাম, তাই উপহারকে বললাম gift। দোকানদার আমাকে। বসিয়ে পুলিশকে খবর দিলো; তারা এসে আমাকে টানাটানি শুরু করল। কারণ জার্মান ভাষায় gift শব্দের অর্থ হচ্ছে বিষ। এখন তাদের প্রশ্ন বিষ দিয়ে কি আমি আত্মহত্যা করতে চাই, না কাউকে খুন করতে চাই?
বিষ নিয়ে যখন কথা উঠলো, তখন আরেকটি গল্প বলি। একজন ছাত্র শিখলো ব্লাড প্রেসার কমাতে সাধারণ লবণের জায়গায় পটাশিয়াম ক্লোরাইড খাওয়া ভাল। তারপর সে গেলো আরেক শহরে ডাক্তারী করতে। সে সময় ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লিখতেন না, নিজেরা ঔষধ তৈরী করে দিতেন। সুতরাং এ ডাক্তারও রাসায়নিক দ্রব্যের দোকান হতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য কিনে আনলো। দুর্ভাগ্যবশতঃ তার জানা ছিলোনা যে সে শহরে পটাশিয়াম সায়ানাইড (মারাত্মক বিষ) কে বলা হতো পটাসিয়াম ক্লোরাইড। তাই কিছুদিনের মধ্যে দেখা গেল তার সব রক্তচাপের রোগী বিষক্রিয়ায় মারা গেল এবং তাকে গ্রেফতার করা হল। গল্প বাদ দাও। বাংলাদেশেই প্যারাসিটামল সিরাপে একটি রাসায়নিক দ্রব্যের পরিবর্তে প্রায় একই নামের আরেকটি রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়ায় অনেক শিশু মারা যায়।
এ ধরনের অবস্থার যেন সৃষ্টি না হয়, তাই বিভিন্ন বস্তুর নামকরণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজন হল। এজন্য পৃথিবীর সকল দেশের নামকরা রসায়নবিদদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হল International Union of Pure and Applied Chemists বা সংক্ষেপে IUPAC, এদের উপরেই ভার পড়লো সকল ধরনের রাসায়নিক পদার্থের নামকরণের। যেহেতু কোটি কোটি বস্তু বিদ্যমান, এবং প্রতি বৎসর আরো নতুন নতুন বস্তু তৈরী হচ্ছে, সেহেতু তারা প্রতিটি বস্তুর জন্য পৃথক নাম না দিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এর ফলে বর্তমানে যে কোন একটি যৌগের একটি মাত্র নাম হয়, যা অন্য কারো সাথে মিলে না এবং কোন নাম হতে সে যৌগের আণবিক গঠন বলা যায়। এ সকল নীতিমালাকে IUPAC নিয়ম বলা হয়। বিভিন্ন মৌলের ক্ষেত্রেও IUPAC এর নিয়ম বিদ্যমান। যে সকল মৌল বহু পূর্ব হতে আবিষ্কৃত, তাদের ঐতিহাসিক নামই গ্রহণ করা হয়েছে। আধুনিককালে যে সকল মৌল আবিস্কৃত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে আবিস্কারকগণ তাদের যে নাম দেবেন, তাই গৃহীত হবে। পারমাণবিক সংখ্যা-১০৩ পর্যন্ত মৌলসমূহের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা ছিলো না; কিন্তু তারপরই গন্ডগোলের সৃষ্টি। উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলসমূহের সৃষ্টি করা খুবই কঠিন, শুধুমাত্র আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েট ইউনিয়ন ও জার্মানীর দুয়েকটি গবেষণাগারে এ সকল মৌল সৃষ্টি ও তাদের সনাক্তকরণ সম্ভব। ১৯৬৪ সনে সোভিয়েট ইউনিয়নের Dubna তে Joint Nuclear Research Institute এর বিজ্ঞানীরা দাবী করলেন তাঁরা ১০৪ নং মৌল সৃষ্টি করেছেন এবং তার প্রমাণ পেশ করলেন। তাঁরা এ মৌলের নাম Kurchatovium এবং সংকেত Ku রাখেন।
কিন্তু আমেরিকার বিজ্ঞানীরা বললেন, এ দাবী গ্রহণযোগ্য নয়। অসুবিধা হচ্ছে এ সকল মৌল অতি অতিক্ষুদ্র পরিমাণে সৃষ্টি করা সম্ভব হয়; এতো ক্ষুদ্র পরিমাণে যে অতি ভালো অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারাও তা দেখা যায় না। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে এ সকল মৌল এক সেকেন্ডের অনেক কম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যায়; সুতরাং তৈরী করে অন্যের হাতে পরীক্ষার জন্য দেওয়া সম্ভব নয়।
১৯৬৯ সনে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে Berkeley তে University of California এর Radiation laboratory এর বিজ্ঞানীরা দাবী করেন যে তারা ১০৪ নং মৌল সৃষ্টি করেছেন। তারা বললেন যে যেহেতু রুশ বিজ্ঞানীদের এ মৌলটি সৃষ্টির আগের দাবী সঠিক নয়, সেহেতু তারাই এ মৌলটি প্রথম সৃষ্টির দাবীদার। সুতরাং তারা মৌলটির নাম Rutherfordium ও সংকেত Rf রাখেন। ব্যস, বেঁধে গেল গন্ডগোল। দু দেশই তখন পৃথিবীর পরাশক্তি; এছাড়া IUPAC তে তাদের অনেক প্রতিনিধি। এখন IUPAC কি করবে?
এদিকে ১৯৬৭-৭০ সনে Dubna এর বিজ্ঞানীরা ১০৫ নং মৌল আবিষ্কারের দাবী করেন এবং তার নাম Niels Bohrium ও সংকেত Ns রাখেন। অপরদিকে Berkeley এর বিজ্ঞানীরা বলেন, রুশ বিজ্ঞানীদের প্রদত্ত প্রমাণ অসম্পূর্ণ। তাঁরা এর পরপরই ১৯৭০ সনে একই মৌল প্রথম সৃষ্টির দাবী করেন এবং এর নাম Hahnium এবং সংকেত Ha রাখেন। পরবর্তীতে ১০৬ ও ১০৭ নম্বর মৌল সম্পর্কেও Dubna ও Berkley এর বিজ্ঞানীরা পরস্পর বিরোধী দাবী করেন।
এ অবস্থায় অনেক রাশিয়ান বইতে দেখা গেল ১০৪ ও ১০৫ নং মৌলের নাম যথাক্রমে Kurchatovium ও Niels Bohrium। আমেরিকান উচ্চস্তরের বইগুলি ও অন্যান্য দেশের বইগুলি কোন নাম ছাড়া ১০৪ ও ১০৫ লিখে রাখলো। তবে কিছু আমেরিকান বইতে ১০৪ ও ১০৫ নং মৌলের আমেরিকান নামদ্বয় দেখা গেল।
এর মধ্যে কেমন করে যেন বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু বইতে ১০৪নং মৌলের নাম Kurchatovium ও ১০৫ নং মৌলের নাম Hahnium দেখা গেল। কিভাবে তা হল, তা আমি জানি না। সম্ভবত কোন লেখক মনে করলেন উভয় দেশকে খুশী রাখি, তাই ১০৪ নং মৌলের রাশিয়ান নাম ও ১০৫ নং মৌলের আমেরিকান নাম তার বইতে চালিয়ে দিলেন। যদি তিনি প্রথমে আমেরিকা ও পরে রাশিয়াকে খুশী করতে চাইতেন তাহলে ১০৪ নং মৌলের নাম Rutherfordium ও ১০৫ নং মৌলের নাম Niels Bohrium দেখা যেতো। যাহোক এ সকল নাম আমাদের দেশের অনেক বইতে দেখা গেলেও তা সঠিক নয়, কেননা, এ সকল নাম বাছাইয়ের কোন দায়িত্ব বা ক্ষমতা সে লেখকের ছিল না। যেমন আমি নিজের ইচ্ছেমতো কোন দেশের নাম হাজারীবাগ বা সরোজস্থান রাখতে পারি না।
এসকল নাম বাছাইয়ের ক্ষমতা একমাত্র IUPAC এর। তারা উপায়ান্তর না দেখে ১৯৭৭ সনে অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে নিন্মোক্ত নাম ও সংকেত রাখেন।
পারমাণবিক সংখ্যা - নাম - অর্থ - সংকেত
104 - Un nil- quadium - এক শূন্য চার – Unq
105 - Un nil pentium - এক শূন্য পাঁচ - Unp
106 - Un nil hexium - এক শূন্য ছয় - Unh
107 - Un nil septium - এক শূন্য সাত - Uns
108 - Un nil octium - এক শূন্য আট - Uno
109 - Un nil ennium - এক শূন্য নয় - Une
110 - Un un nilium - এক এক শূন্য - Uun
111 - Un un unium - এক এক এক - Uuu
112 - Un un bium - এক এক দুই - Uub
এখানে বুঝার ও উচ্চারণের সুবিধার জন্য নামগুলিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু সত্যিকার নাম এক শব্দ। যেমন ১০৯ নং মৌলের নাম হচ্ছে Unnilennium। ১৯৯৪ সনে IUPAC ১০৪ হতে ১০৯ নম্বর মৌলের নাম ও প্রতীক নির্ধারণ করে। এগুলি হচ্ছে যথাক্রমে ডুবনিয়াম (Db), জোলিওটিয়াম (Jt), রাদারফোর্ডিয়াম (Fr), বোরিয়াম (Bh), হানিয়াম (Hn) ও মাইটনেরিয়াম (Mt)। কিন্তু এ নামসমূহে অনেকের আপত্তি থাকায় তা বিতর্কিত থেকে গেল। অবশেষে ১৯৯৭ সনে আগষ্টে IUPAC এর বৈঠকে নিম্নোক্ত নাম ও প্রতীকসমূহ বহু সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নির্ধারিত হয়।
104 Rutherfordium (রাদারফোর্ডিয়াম) Rf
105 Dubnium (ডুবনিয়াম) Db
106 Seaborgium (সিবোর্গিয়াম) Sg
107 Bohrium (বোরিয়াম) Bh
108 Hassium (হাসিয়াম) Hs
109 Meitnerium (মাইটনেরিয়াম) Mt
তোমরা হয়তো প্রশ্ন করতে পারো এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলের সংখ্যা কত? এর উত্তর হচ্ছে-আমার জানামতে ১৯৯৬ সন পর্যন্ত ১১২টি। জার্মান বিজ্ঞানীরা ১৯৯৬ সনের ফেব্রুয়ারীর ৯ তারিখে মধ্যরাত্রে ১১২ নম্বর মৌলের একটি মাত্র পরমাণু “সন্দেহাতীতভাবে” সৃষ্টি ও সনাক্ত করেন। এক সেকেন্ডের লক্ষভাগের ২৮ ভাগ সময় পর্যন্ত এ পরমাণুটি টিকে ছিলো। তাতেই বিজ্ঞানীরা খুব খুশী, কেননা; তাঁদের ধারণা ছিলো এর জীবনকাল আরো সংক্ষিপ্ত হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে একই বিজ্ঞানীদল এর চৌদ্দ মাস আগে ১১১ নম্বর মৌল সৃষ্টি করেন। এসকল মৌলের কোন নামকরণ করা হয়নি।
----------------------------------------
বিঃ দ্রঃ বর্তমানে ১১৮টি মৌল আবিষ্কার হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন