শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১

রড ও কোন কোষের কার্যপ্রণালী - Photoreceptors : Rod and cone cells and their mechanism

রড ও কোন কোষের কার্যপ্রণালী,Photoreceptors : Rod and cone cells and their mechanism,rhodopsins
রড ও কোন কোষের কার্যপ্রণালী - Photoreceptors : Rod and cone cells and their mechanism

মানুষের দৃষ্টিশক্তির বৈশিষ্ট্য হলো তার অসাধারণ দক্ষতা। সে তীব্র আলোতে যেমন দেখতে পারে, তেমনি আবার প্রায় অন্ধকারেও দেখতে পারে। যে সব ক্যামেরা দিনের আলোয় ভালো কাজ করে সেগুলো অন্ধকারে প্রায় অকেজো। আবার কম আলোতে ভালো কাজ করে যে সব ক্যামেরা সেগুলো প্রবল আলোতে ভালো কাজ দেয় না। মানুষের চোখ কিন্তু আলো-অন্ধকার নির্বিশেষে কাজ করে। তবে আলো থেকে হঠাৎ অন্ধকারে গেলে প্রথমে কিছুই দেখা যায় না। মনে হয় চোখ বুঝি একেবারে অন্ধ হয়ে গেল। কয়েক মিনিট পর ধীরে ধীরে সব দৃশ্যমান হয়। চোখ আলো অনুভব করে রড ও কোন নামক দুধরনের সেল বা কোষের সাহায্যে। কোন কোষ (cone cells) তীব্র আলোয় রঙের অস্তিত্ব ধরতে পারে আর রড কোষ (Rod cells) স্বল্প আলোয় সাদা-কালো দৃশ্য দেখতে পায়। তা ছাড়া রড় সেলে রডপসিন (rhodopsins) নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা ফোটন শুষে নিয়ে আলোর অস্তিত্ব উপলব্ধি করে। রডপসিন অণু যখন ফোটন অণু শোষণ করে তখন সে রেটিনাল ও অপসিন অণুতে বিভক্ত হয়ে যায়। এ দুটি বিভক্ত অণু পরে আবার বেশ ধীর গতিতে সম্মিলিত হয়ে রডপসিন অণুতে পরিণত হয়। তাই যখন আমরা তীব্র আলোতে দেখি তখন সবগুলো রডপসিন রেটিনাল ও অপসিনে বিভক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় যদি আমরা কোনো অন্ধকার ঘরে ঢুকি তাহলে প্রথমে চোখে কিছুই দেখা যায় না, কারণ যথেষ্ট আলো না থাকলে কোন দেখতে পারে না আর রডে কোনো রডপসিন থাকে না বলে রডও অকার্যকর। তবে ধীরে ধীরে রেটিনাল ও অপসিনে বিভক্ত অণুগুলো সম্মিলিত হয়ে আবার রডপসিনে পরিণত হতে থাকে এবং তখন আবার অন্ধকারেও দেখা সম্ভব হয়। এজন্যই অন্ধকারে অভ্যস্ত হতে চোখের কিছু সময় লাগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন