রেট্রো ভাইরাস কি, রেট্রো ভাইরাস কিভাবে কাজ করে, retro virus,প্রোভাইরাস,provirus,এইচআইভি,এইড্স |
রেট্রো ভাইরাস কি ও কিভাবে কাজ করে? What is retro virus and how does it work?
বিগত চল্লিশ বছরে রেট্রো ভাইরাস বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মাঝে ভালোই মাতামাতি হয়েছে। এটা নিয়ে গবেষণার ফলে অনেক দূঃখজনক জিনিস যেমন উঠে এসেছে আবার বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দরকারে এটাকে কাজে লাগাতে পেরেছেন। রেট্রোভাইরাস ("retrovirus") নামের মানে হল যে ভাইরাস তার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে না করে উল্টোভাবে করে। যারা জেনেটিকস সম্পর্কে পড়েছো, তোমরা হয়তো জানবে পোষককোষে প্রবেশ করার পর একটি ভাইরাস কিভাবে কাজ করে। অর্থাৎ, ডিএনএ থেকে আরএনএ তৈরী হয় এবং আরএনএ থেকে প্রোটিন। কিন্তু রেট্রোভাইরাস করে এর উল্টো পদ্ধতিতে। তাই একে প্রোভাইরাসও (provirus) বলে। retro শব্দের অর্থ বিপরীতমুখী।
এই ভাইরাসের একটি আরএনএ জিনোম থাকে যা পোষক কোষের ভিতরে প্রবেশ করে উল্টো প্রতিলিপিকরণ (Reverse transcription) এর মাধ্যমে ডিএনএতে পরিণত হয়। এরপর এই ডিওএনএটি কোষের জিনোমে প্রবেশ করে এবং কোষ বিভাজনের সময় এটি প্রতিলিপি তৈরী করতে থাকে এবং আরএনএ প্রকাশ করতে থাকে। এদের কিছু আরএনএ আবার প্রোটিনে পরিণত হয় কারণ ভাইরাস তৈরীর পর ভাইরাসের দেহের দেয়াল তৈরীর জন্যে প্রোটিন প্রয়োজন। আর কিছু আরএনএ অর্থাৎ আরএনএ জিনোম আক্রান্ত কোষ থেকে নিঃসৃত হয়ে বাহিরে বের হয়ে আসে এবং অন্য কোষকে আক্রান্ত করে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম, বিভিন্ন ধরণের রেট্রোভাইরাস আছে। একেক ভাইরাসের একেক রকম কাজ।
বিভিন্ন ধরণের রেট্রোভাইরাসের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে বিখ্যাত হল হিউম্যান ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি ভাইরাস, সংক্ষেপে এইচআইভি (human immunodeficiency virus)। এটি মানব দেহে যে রোগ সৃষ্টি করে তার নাম হল অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনো ডেফিশিয়েন্সি সিনড্রোম (acquired immunodeficiency syndrome) বা এইডস। আরো বিভিন্ন ধরণের রেট্রো ভাইরাস আছে যারা বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার, লিউকেমিয়া ইত্যাদি ধ্বংসাত্বক রোগ সৃষ্টি করছে। এতক্ষণ ধরে রেট্রোভাইরাসের নেতিবাচক কথা শুনলাম, এবার কিছু ইতিবাচক বিষয় জানব। বিজ্ঞানীরা ইদানিং গৃহপালিত পশুপাখির মত কিছু কিছু রেট্রোভাইরাসকে জেনেটিক টেকনোলজির মাধ্যমে পোষ মানিয়ে নিজেদের কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন। যেমন জিনোম থেরাপির কথা আমরা বলতে পারি। কোন একটি কোষের জিনের মাঝে এমন কিছু অনুপস্থিত যা অন্য কোন কিছুর কোষে আছে। বিজ্ঞানীরা রেট্রোভাইরাসের মাধ্যমে সেই অংশটা রেপ্লিকেট (অনুলিপিকরণ) করে যেখানে সেটা দরকার সেখানে সেটা স্থাপন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন খারাপ জীবানুকে রেট্রোভাইরাস ব্যবহার করে জীনগত পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে আমাদের কাজে লাগানো যায় কিনা এ ব্যপারে বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
David M. Bodine, Ph.D.
(অনুবাদঃ মারুফ মাহমুদ)
যা বুঝি নাইঃ
১। ডিএনএঃ
২। জিনোম
৩। আরএনএঃ
৪। ক্যানসার
৫। লিউকেমিয়া
https://www.genome.gov/genetics-glossary/Retrovirus
সুন্দর ❤️
উত্তরমুছুন