General Science,BCS Exam preparation,বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি,চৌম্বকত্ব ও তড়িৎচুম্বক,ট্রান্সফর্মার, |
- - - - - - - - - - - - -
চৌম্বকত্ব
-চুম্বকের ইংরেজি প্রতিশব্দ Magnet গ্রিক শব্দ Magnesia থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ- পাথর।
-বস্তুর আকর্ষণ ও দিক নির্দেশক ধর্মকে- চুম্বকত্ব বলা হয়।
-চুম্বকের দুটি ধর্ম আকর্ষণ ও দিক নির্দেশক ধর্ম।
-সবচেয়ে শক্তিশালী স্থায়ী চুম্বক হল- নিয়োডিমিয়াম বোরন আয়রনের চুম্বক ইত্যাদি।
-লোহা, লোহার যৌগ, লোহার সংকর ধাতু, নিকেল ও কোবাল্ট ইত্যাদি- চৌম্বক পদার্থ।
-সোনা, রুপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, টিন, দস্তা ইত্যাদি- অচৌম্বক পদার্থ।
-মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অস্থায়ী চুম্বক।
-টেপ রেকর্ডার ও কম্পিউটারের স্মৃতির ফিতায় ব্যবহার করা হয় স্থায়ী চুম্বক টেপ রেকর্ডার ও কম্পিউটারের স্মৃতির ফিতায় বহুল ব্যবহৃত হয়- সিরামিক চুম্বক।
-ক্যাসেটের ফিতার শব্দ রক্ষিত থাকে—-চুম্বক ক্ষেত্র হিসেবে।
-চুম্বকে পরিণত করা যায়--ইস্পাতকে।।
-কলিং বেলে বিদ্যুৎ চুম্বকের জন্য নরম লোহা ব্যবহারের কারণ হলো- নরম লোহা বিদ্যুৎ প্রবাহে দ্রুত চুম্বকে পরিণত হয়।
-ক্যাসেট প্লেয়ারের টেপে- CrO2 ব্যবহৃত হয়।
-চুম্বকের মেরুতে আকর্ষণ বেশি ও মাঝখানে আকর্ষণ সবচেয়ে কম।
-লোহার কুরি তাপমাত্রা- 770°C.
-চুম্বকের রাসায়নিক সংকেত—Fe3O4।
-চৌম্বক বলরেখাগুলো - চুম্বক ক্ষেত্র নির্দেশ করে।
-প্রাকৃতিক চুম্বককে পূর্বে বলা হতো লোড স্টোন।
-তাড়িত চুম্বক U আকৃতির হয়।।
-এক টুকরো কাঁচা লোহাকে U আকারে বাঁকিয়ে অন্তরিত তামার তার জড়িয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করলে উৎপন্ন হয় তাড়িত চৌম্বক।
-1600 খ্রি. গিলবার্ট প্রমাণ করেন— পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক ক্ষেত্র। ভূচুম্বকের উত্তর মেরু থাকে–দক্ষিণ দিকে ও দক্ষিণ মেরু থাকে—– উত্তর দিকে।
--------
তড়িৎ চৌম্বক
-তড়িৎ চৌম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়-- কাঁচা লোহা।
-তড়িৎ প্রবাহে চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় এটি প্রমাণ করেন- ওয়েরস্টেড, ১৮১৯ সালে।
-১৮৩১ সালে মাইকেল ফ্যারাডে আবিষ্কার করেন- তড়িৎ চৌম্বক আবেশ।
-ফ্যারাডে কর্তৃক তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশের দুটি সূত্র হলো –
১ম সূত্র: যখনই কোনো বদ্ধ তার কুণ্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক আবেশ রেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে তখনই উক্ত কুণ্ডলীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।
২য় সূত্র: তার কুণ্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তির মান সময়ের সাথে কুণ্ডলী দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্স এর পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।
-লেঞ্জ এর সূত্র- আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা তড়িৎ প্রবাহের দিক এমন হয় যে এটি উৎপন্ন হওয়ার পর যে কারণে উৎপন্ন হয় সেই কারণের বিরুদ্ধেই কাজ করে।
-তড়িৎবাহী কুণ্ডলীকে বলে—মুখ্য কুন্ডলী।
-যে তারের কুন্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ আবিষ্ট হয় তাকে বলে-- গৌণ কুন্ডলী।
-ডায়নামো, মোটর, ট্রান্সফরমার প্রভৃতি- তড়িৎ চৌম্বকীয় আবেশ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।
-ডায়নামো যান্ত্রিক শক্তিকে- তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
-বৈদ্যুতিক মোটর তড়িৎ শক্তিকে- যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তড়িৎ চৌম্বকের মেরুশক্তি তাদের- পাক সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
-সলিনয়েডের ভিতর লোহার দণ্ড/পেরেক ঢুকিয়ে সলিনয়েডে তড়িৎপ্রবাহ চালালে দণ্ড বা পেরেকটি তাড়িৎ চুম্বকে পরিণত হয়।
-তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ করলে দণ্ড বা পেরেক আর চুম্বক থাকে না।
-তড়িৎপ্রবাহের দিক পরিবর্তন করলে- তাড়িৎ চুম্বকের মেরু বিপরীত হয়ে যায়।
-তড়িৎ চৌম্বকের প্রাবল্য বৃদ্ধি পায়- সলিনয়েডের তারের ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাড়িয়ে।
-সলিনয়েডের পাক বা পেঁচের সংখ্যা বাড়ালে তড়িৎ চৌম্বকের প্রাবল্য বৃদ্ধি পায়।
-লোহার দণ্ড বা পেরেককে U অক্ষরের মতো বাঁকিয়ে মেরু দুটি আরো কাছাকাছি এনে তড়িৎ চৌম্বকের প্রাবল্য বৃদ্ধি করা যায়।
-সলিনয়েড হলো ঘন সন্নিবিষ্ট অনেকগুলো পেঁচযুক্ত লম্বা বেলনাকার কয়েল বা তারকুণ্ডলী।
ট্রান্সফর্মার
উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তর করে- ট্রান্সফর্মার।
-তড়িৎ চৌম্বক আবেশের ওপর ভিত্তি করে এই যন্ত্র তৈরি করা হয়। ট্রান্সফরমার দুই প্রকার। যথা: উচ্চধাপী/আরোহী/Step up transformer ও নিম্নধাপী অবরোহী/Step down transfortner.
-উচ্চধাপী ট্রান্সফরমার নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে এবং নিম্নধাপী ট্রান্সফরমার উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে রূপান্তরিত করে।
-ট্রান্সফর্মার ভোল্টেজ ও তড়িৎপ্রবাহ উভয়কেই রূপান্তর করে।
-দূর দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য আরোহী বা উচ্চধাপী ট্রান্সফর্মার ব্যবহৃত হয়।
-Step up transformer ব্যবহৃত হয়— বাসাবাড়ি, রেডিও, টেলিভিশন, টেপরেকর্ডারে।
-Transformer শুধু AC বর্তনীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন