BCS Exam preparation,General Science,সাধারণ বিজ্ঞান,আলোর প্রকৃতি,বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি |
সাধারণ বিজ্ঞান - আলোর প্রকৃতি - বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি – The Nature of Light - BCS Exam preparation – General Science
- - -
-জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশি— গামা রশ্মি। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (<10-11m)
-বিভিন্ন বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক: হীরক (2.42}, পানি (1.33), গ্লিসারিন (1.47), কোয়ার্টজ (1.54)।
-পানির সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক-১.১৩।
-চেহারা দেখা যায় এমন সরল পেরিস্কোপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সমতল দর্পণ।
-মোটর গাড়ির হেডলাইট, রাস্তার লাইটে প্রতিফলক হিসেবে, গাড়ির ব্যাক মিরর এ ব্যবহার করা হয়--- উত্তল দর্পণ।।
-অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়-নাক, কান ও গলা পর্যবেক্ষণে, নভো দূরবীক্ষণে।
-ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করা যায়-কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে।
-আলো প্রতি সেকেন্ডে যায়-- তিন লক্ষ কিলোমিটার।
-আলো একবছরে বা ৩৬৫ দিনে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।
-আলোকবর্ষ সময়ের একক নয়, আলোর গতির একক।
-এক আলোক বর্ষ ৯.৪৬ X১০৯ কিলোমিটার।
-সূর্য হতে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
-পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার।
-আলোর তত্ত্ব প্রবক্তা-
-কণাতত্ত্ব → নিউটন (১৬৭২);
-তরঙ্গ তত্ত্ব → হাইগেন (১৬৭৮);
-তাড়িত চৌম্বক → ম্যাক্সওয়েল (১৮৬৪);
-কোয়ান্টাম তত্ত্ব → ম্যাক্স প্লাঙ্ক (১৯০০)।
-তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গগুলো গামারশ্মি, এক্সরে (রঞ্জন রশ্মি), অতি বেগুনী রশি, দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত রশ্মি ও বেতার তরঙ্গ।
-আলো এক প্রকার শক্তি। আলোর চেয়ে শব্দের বেগ কম।
-শূন্যস্থানে আলোর বেগ ৩X১০৮ মি./সে.।
-যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে—– দর্পণ বলে।
-সমতল দর্পণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়-পেরিস্কোপ।
-দন্ত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়- অবতল দর্পণ।
-গামা রশ্মি দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ৫০ হাজার গুণ বেশি শক্তি সম্পন্ন।
-শরীরে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে--- অতি বেগুনী রশ্মি।
-দৃশ্যমান বর্ণালির ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হল— বেগুনি রঙের আলো। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (৩৮০০Å – ৪৫০০Å)।
-লাল রং বেশি দূর থেকে দেখা যায়। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি (৬৮০০ - ৭৮০০Å)।
-নীল আলোর বিক্ষেপণের কারণে— আকাশ নীল দেখায়।
-কোনো বস্তুকে সাদা দেখায়— যখন বস্তু কর্তৃক সব বর্ণের আলো প্রতিফলিত হয়।
-আয়নার পিছনে রৌপ্য ধাতু ব্যবহার করা হয়।
-হীরক উজ্জ্বল দেখায়— কারণ আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়।
-মরীচিকায় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে।
-অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে- খুব সরু ও নমনীয় কাচ তন্তুর আলোক নল।
-অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়। এর মধ্য দিয়ে আলোর গতিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়।
-গোধূলির কারণ—– আলোর প্রতিসরণ; প্রিজমে আলোর প্রতিসরণ হয়।
-পানিপূর্ণ গ্লাসে ধাতব মুদ্রা রাখলে মুদ্রাটিকে কিছু উপড়ে মনে হওয়ার কারণ- আলোর প্রতিসরণ।
-মানুষের চোখের মধ্যকার লেন্সের আকৃতি- দ্বি-উত্তল।
-আলোর গতি ও বেতার তরঙ্গের গতি–– পরস্পর সমান।
-পানিতে একটি কাঠি ডুবিয়ে রাখলে বাঁকা দেখায়- প্রতিসরণের জন্য।
-পানিতে নৌকার বৈঠা বেঁকে যায় প্রতিসরণের কারণে।
-সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টর তৈরি করা হয়- অবতল লেন্স দ্বারা।
-প্রতিসরণ সবচেয়ে বেশি হয় বেগুনি বর্ণের আলোর।।
-চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় তার কারণ বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ।
-চোখের সাথে মিল রয়েছে ক্যামেরার।
-কুকুর ও বিড়ালের চোখে টেপেটাম নামক রঞ্জক কোষ থাকায় কুকুর ও বিড়ালের চোখ জ্বল জ্বল করে।
-মৌলিক বর্ণ- ৩টি, ১, নীল/আসমানী, ২. সবুজ ও ৩. লাল (মনে রাখুন- আসল)
১. সবুজ + নীল = ময়ূরকণ্ঠী নীল
২. সবুজ + লাল = হলুদ
৩. লাল + নীল। = ম্যাজেন্টা
৪. নীল + হলুদ == সাদা
৫. লাল + নীল + সবুজ = সাদা
-রঙিন টেলিভিশনে যে তিনটি মৌলিক রং ব্যবহার করা হয়— আসমানী, সবুজ ও লাল।
-রঙিন টেলিভিশন হতে মৃদু রঞ্জন রশ্মি বের হয়।
-রঞ্জন রশ্মির অপর নাম- X-ray (এক্স রে)।
-টেলিভিশন ও রাডারে ব্যবহার করা হয়- Micro Wave তরঙ্গ।
-ফোটন হলো- আলোক রশ্মির সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকা।
-আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (ফটো ইল্কট্রিক ইফেক্ট) ব্যাখ্যার জন্য নোবেল পুরস্কার পান- আলবার্ট আইনস্টাইন।
-কোনো বস্তুকে সাদা দেখালে বুঝতে হবে বস্তু সবগুলো বর্ণই প্রতিফলিত করে।
-লাল আলোতে সবুজ ফুলকে কালো দেখায়। একইভাবে নীল বস্তুকেও কালো দেখায়।
-সবুজ আলোতে হলুদ ফুলকে-কালো দেখাবে।
-বেশি তাপ বিকিরণ ও শোষণ করে কালো রঙ।
-সাদা রঙের কাপে চা বেশি সময় গরম থাকে, কালো রঙের কাপে- তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়।
-লাল আলো সবুজ পাতা দ্বারা শোষিত হওয়ার কারণে লাল আলোতে সবুজ পাতাকে- কালো দেখায়।
-তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হলে- আলোর বিক্ষেপণ কম হয়, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম হলে- বিক্ষেপণ বেশি হয়।
-লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি। তাই লাল আলোর বিক্ষেপণ কম।
-বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম তাই বিক্ষেপণ বেশি।
-বর্ণালিতে প্রাপ্ত সাতটি রঙ- বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল (বেনীআসহকলা)।
-বর্ণালির প্রান্তীয় বর্ণ- বেগুনি ও লাল। মধ্যবর্তী বর্ণ- সবুজ।
-ট্রাফিক সিগন্যালে লাল আলো ব্যবহারের কারণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ও দূর হতে দেখা যায়।
-ট্রাফিক লাইটে আলোকক্রম: লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ-লাল। লাল = stop, সবুজ = go, হলুদ = Wait।
-বিচ্ছুরিত শক্তি সবচেয়ে বেশি বেগুনি বর্ণের।
-আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন- স্যার আইজ্যাক নিউটন।
-মানুষের দর্শন ক্ষমতা প্রায় শূন্য – লাল আলোতে।
-হলুদ-সবুজ অঞ্চলে দর্শনানুভূতি সব থেকে বেশি।
-সূর্য রশ্মির বিক্ষেপণের জন্য সমুদ্রকে নীল দেখায়।
-রংধনুতে সাতটি রঙ থাকে।
-রংধনুতে হলুদ রঙের পাশের দুটি রঙ সবুজ ও কমলা।
-রংধনুর জন্য বৃষ্টি, সূর্যের আলো ও মেঘমুক্ত আকাশ দরকার হয়।
-রংধনুতে বৃষ্টির ফোঁটা কাজ করে প্রিজমের ন্যায়।
-যৌগিক আলো থেকে মূল বর্ণের আলো পাওয়ার পদ্ধতি হল- আলোর বিচ্ছুরণ।
-সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্বের সময়কে— ঊষা বলে।
-সোডিয়াম লাইটের আলোতে লাল কাপড় কালো দেখাবে।
আলোক যন্ত্রপাতি
-মস্তিষ্ক-- রেটিনার উল্টো প্রতিবিম্বকে সোজা করে।
-ক্যামেরার লেন্সের পিছনের পর্দায় ব্যবহার করা হয়- সিজিয়াম এর (পদার্থ) আবরণ।
-চোখের নিকটবর্তী ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখায়— অনুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোস্কোপ।
-অনুবীক্ষণ যন্ত্র দুই ধরনের। যথা: ১. সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র ও ২. জটিল অণুবীক্ষণ যন্ত্র।
-যে যন্ত্র দ্বারা বহু দূরের বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখা যায় তাকে-দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা দূরবীক্ষণ বলে।
-আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে--নভোবীক্ষণ বা নভো টেলিস্কোপ বলে।
-পেরিস্কোপ হলো— পানির নিচ থেকে উপরে দেখার যন্ত্র।
-পেরিস্কোপ তৈরি করা হয় আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণ নীতির উপর ভিত্তি করে।
-সরল অনুবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় একটি উত্তল লেন্স। অন্যদিকে জটিল অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দুটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়। গ্যালিলিও ১৬১০ সালে যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।
-নভো দূরবীক্ষণ (আকাশ টেলিস্কোপ) যন্ত্র আবিষ্কার করেন ডেনমার্কের জ্যোতির্বিদ কেপলার, ১৬১১ সালে।
-নভো দূরবীক্ষণ এর সাহায্যে নভোমণ্ডলীয় বস্তু (সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র) পর্যবেক্ষণ করা হয়।
-উত্তল লেন্সের উপর ভিত্তি করে ক্যামেরা তৈরি করা হয়।
-শক্ত সেলুলয়েডের তৈরি পর্দা/স্বচ্ছ কাঁচ ক্যামেরার ফিল্ম বা আলোকচিত্রগ্রাহী পাতের কাজ করে।
-স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব--২৫ cm।
-দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল- ০.১ সেকেন্ড।
-চোখে চার ধরনের ত্রুটি দেখা যায় - হ্রস্ব বা ক্ষীণ দৃষ্টি, দীর্ঘ বা দূর দৃষ্টি, বার্ধক্য বা চালশে দৃষ্টি ও বিষম দৃষ্টি বা নকুলান্ধতা।
-ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন চোখ- দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখে না।
-দীর্ঘ দৃষ্টি সম্পন্ন চোখ— কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না।
-হ্রস্বদৃষ্টি (Myopia) চিকিৎসায় উত্তল লেন্স ও দীর্ঘ দৃষ্টি (Hypernetropia) চিকিৎসায় অবতল লেন্স ব্যবহার করা হয়। চালশে দৃষ্টি (বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা) দূর করতে দ্বি-ফোকাস (Bi-focal) লেন্স ব্যবহৃত হয়। নকুলান্ধতা দূর করতে ব্যবহার করা হয়- টরিক লেন্স।
-ফটোগ্রাফিক প্লেটে- সিলভার হ্যালাইড (Agl বা AgBr) এর আবরণ ব্যবহা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন