শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

সাধারণ বিজ্ঞান - আলোর প্রকৃতি - বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি – The Nature of Light - BCS Exam preparation – General Science

 

BCS Exam preparation,General Science,সাধারণ বিজ্ঞান,আলোর প্রকৃতি,বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি

সাধারণ বিজ্ঞান - আলোর প্রকৃতি - বিসিএস পরীক্ষা প্রস্তুতি – The Nature of Light - BCS Exam preparation – General Science  

- - -  

-জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশি গামা রশ্মি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (<10-11m)

-বিভিন্ন বস্তুর প্রতিসরাঙ্ক: হীরক (2.42}, পানি (1.33), গ্লিসারিন (1.47), কোয়ার্টজ (1.54)

-পানির সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক-.১৩

-চেহারা দেখা যায় এমন সরল পেরিস্কোপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সমতল দর্পণ।

-মোটর গাড়ির হেডলাইট, রাস্তার লাইটে প্রতিফলক হিসেবে, গাড়ির ব্যাক মিরর ব্যবহার করা হয়--- উত্তল দর্পণ।।

-অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়-নাক, কান গলা পর্যবেক্ষণে, নভো দূরবীক্ষণে।

-ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করা যায়-কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে।

-আলো প্রতি সেকেন্ডে যায়-- তিন লক্ষ কিলোমিটার।

-আলো একবছরে বা ৩৬৫ দিনে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।

-আলোকবর্ষ সময়ের একক নয়, আলোর গতির একক।  

-এক আলোক বর্ষ ৯.৪৬ X১০ কিলোমিটার।

-সূর্য হতে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে মিনিট ১৯ সেকেন্ড।

-পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার।

-আলোর তত্ত্ব প্রবক্তা-

-কণাতত্ত্ব নিউটন (১৬৭২);

-তরঙ্গ তত্ত্ব হাইগেন (১৬৭৮);

-তাড়িত চৌম্বক ম্যাক্সওয়েল (১৮৬৪);

-কোয়ান্টাম তত্ত্ব ম্যাক্স প্লাঙ্ক (১৯০০)

-তাড়িত চৌম্বক তরঙ্গগুলো গামারশ্মি, এক্সরে (রঞ্জন রশ্মি), অতি বেগুনী রশি, দৃশ্যমান আলো, অবলোহিত রশ্মি বেতার তরঙ্গ।

-আলো এক প্রকার শক্তি। আলোর চেয়ে শব্দের বেগ কম।

-শূন্যস্থানে আলোর বেগ X১০ মি./সে.

-যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে—– দর্পণ বলে।

-সমতল দর্পণ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়-পেরিস্কোপ

-দন্ত চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়- অবতল দর্পণ

-গামা রশ্মি দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ৫০ হাজার গুণ বেশি শক্তি সম্পন্ন।

-শরীরে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে--- অতি বেগুনী রশ্মি।

-দৃশ্যমান বর্ণালির ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হল বেগুনি রঙের আলো এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (৩৮০০Å ৪৫০০Å)

-লাল রং বেশি দূর থেকে দেখা যায়। এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি (৬৮০০ - ৭৮০০Å)

-নীল আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়।

-কোনো বস্তুকে সাদা দেখায় যখন বস্তু কর্তৃক সব বর্ণের আলো প্রতিফলিত হয়।

-আয়নার পিছনে রৌপ্য ধাতু ব্যবহার করা হয়।

-হীরক উজ্জ্বল দেখায় কারণ আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়।

-মরীচিকায় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে।

-অপটিক্যাল ফাইবার হচ্ছে- খুব সরু নমনীয় কাচ তন্তুর আলোক নল

-অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়। এর মধ্য দিয়ে আলোর গতিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়।

-গোধূলির কারণ—– আলোর প্রতিসরণ; প্রিজমে আলোর প্রতিসরণ হয়।

-পানিপূর্ণ গ্লাসে ধাতব মুদ্রা রাখলে মুদ্রাটিকে কিছু উপড়ে মনে হওয়ার কারণ- আলোর প্রতিসরণ।

-মানুষের চোখের মধ্যকার লেন্সের আকৃতি- দ্বি-উত্তল।

-আলোর গতি বেতার তরঙ্গের গতি–– পরস্পর সমান।

-পানিতে একটি কাঠি ডুবিয়ে রাখলে বাঁকা দেখায়- প্রতিসরণের জন্য।

-পানিতে নৌকার বৈঠা বেঁকে যায় প্রতিসরণের কারণে।

-সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টর তৈরি করা হয়- অবতল লেন্স দ্বারা।

-প্রতিসরণ সবচেয়ে বেশি হয় বেগুনি বর্ণের আলোর।।

-চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় তার কারণ বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ।

-চোখের সাথে মিল রয়েছে ক্যামেরার।

-কুকুর বিড়ালের চোখে টেপেটাম নামক রঞ্জক কোষ থাকায় কুকুর বিড়ালের চোখ জ্বল জ্বল করে।

-মৌলিক বর্ণ- ৩টি, , নীল/আসমানী, . সবুজ . লাল (মনে রাখুন- আসল)

. সবুজ + নীল = ময়ূরকণ্ঠী নীল

. সবুজ + লাল = হলুদ

৩. লাল + নীল। = ম্যাজেন্টা

. নীল + হলুদ == সাদা

. লাল + নীল + সবুজ = সাদা

-রঙিন টেলিভিশনে যে তিনটি মৌলিক রং ব্যবহার করা হয় আসমানী, সবুজ লাল।

-রঙিন টেলিভিশন হতে মৃদু রঞ্জন রশ্মি বের হয়।

-রঞ্জন রশ্মির অপর নাম- X-ray (এক্স রে)

-টেলিভিশন রাডারে ব্যবহার করা হয়- Micro Wave তরঙ্গ।

-ফোটন হলো- আলোক রশ্মির সর্বনিম্ন শক্তি সম্পন্ন কণিকা।

-আলোক তড়িৎ ক্রিয়া (ফটো ইল্কট্রিক ইফেক্ট) ব্যাখ্যার জন্য নোবেল পুরস্কার পান- আলবার্ট আইনস্টাইন।

-কোনো বস্তুকে সাদা দেখালে বুঝতে হবে বস্তু সবগুলো বর্ণই প্রতিফলিত করে।

-লাল আলোতে সবুজ ফুলকে কালো দেখায়। একইভাবে নীল বস্তুকেও কালো দেখায়।

-সবুজ আলোতে হলুদ ফুলকে-কালো দেখাবে।

-বেশি তাপ বিকিরণ শোষণ করে কালো রঙ।

-সাদা রঙের কাপে চা বেশি সময় গরম থাকে, কালো রঙের কাপে- তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়

-লাল আলো সবুজ পাতা দ্বারা শোষিত হওয়ার কারণে লাল আলোতে সবুজ পাতাকে- কালো দেখায়।

-তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হলে- আলোর বিক্ষেপণ কম হয়, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম হলে- বিক্ষেপণ বেশি হয়।

-লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি। তাই লাল আলোর বিক্ষেপণ কম।

-বেগুনি আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম তাই বিক্ষেপণ বেশি।

-বর্ণালিতে প্রাপ্ত সাতটি রঙ- বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল (বেনীআসহকলা)

-বর্ণালির প্রান্তীয় বর্ণ- বেগুনি লাল। মধ্যবর্তী বর্ণ- সবুজ।

-ট্রাফিক সিগন্যালে লাল আলো ব্যবহারের কারণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সর্বাধিক দূর হতে দেখা যায়

-ট্রাফিক লাইটে আলোকক্রম: লাল-হলুদ-সবুজ-হলুদ-লাল। লাল = stop, সবুজ = go, হলুদ = Wait

-বিচ্ছুরিত শক্তি সবচেয়ে বেশি বেগুনি বর্ণের।

-আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন- স্যার আইজ্যাক নিউটন।

-মানুষের দর্শন ক্ষমতা প্রায় শূন্য লাল আলোতে।

-হলুদ-সবুজ অঞ্চলে দর্শনানুভূতি সব থেকে বেশি।

-সূর্য রশ্মির বিক্ষেপণের জন্য সমুদ্রকে নীল দেখায়।

-রংধনুতে সাতটি রঙ থাকে।

-রংধনুতে হলুদ রঙের পাশের দুটি রঙ সবুজ কমলা।

-রংধনুর জন্য বৃষ্টি, সূর্যের আলো মেঘমুক্ত আকাশ দরকার হয়।

-রংধনুতে বৃষ্টির ফোঁটা কাজ করে প্রিজমের ন্যায়।

-যৌগিক আলো থেকে মূল বর্ণের আলো পাওয়ার পদ্ধতি হল- আলোর বিচ্ছুরণ।

-সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পূর্বের সময়কে ঊষা বলে।

-সোডিয়াম লাইটের আলোতে লাল কাপড় কালো দেখাবে।

 

আলোক যন্ত্রপাতি

-মস্তিষ্ক-- রেটিনার উল্টো প্রতিবিম্বকে সোজা করে

-ক্যামেরার লেন্সের পিছনের পর্দায় ব্যবহার করা হয়- সিজিয়াম এর (পদার্থ) আবরণ।

-চোখের নিকটবর্তী ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখায় অনুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোস্কোপ

-অনুবীক্ষণ যন্ত্র দুই ধরনের। যথা: . সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র . জটিল অণুবীক্ষণ যন্ত্র

-যে যন্ত্র দ্বারা বহু দূরের বস্তু পরিষ্কারভাবে দেখা যায় তাকে-দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা দূরবীক্ষণ বলে।

-আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে--নভোবীক্ষণ বা নভো টেলিস্কোপ বলে।

-পেরিস্কোপ হলো পানির নিচ থেকে উপরে দেখার যন্ত্র।

-পেরিস্কোপ তৈরি করা হয় আলোর প্রতিফলন প্রতিসরণ নীতির উপর ভিত্তি করে

-সরল অনুবীক্ষণ যন্ত্রে ব্যবহার করা হয় একটি উত্তল লেন্স। অন্যদিকে জটিল অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দুটি উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়। গ্যালিলিও ১৬১০ সালে যৌগিক অণুবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।

-নভো দূরবীক্ষণ (আকাশ টেলিস্কোপ) যন্ত্র আবিষ্কার করেন ডেনমার্কের জ্যোতির্বিদ কেপলার, ১৬১১ সালে।

-নভো দূরবীক্ষণ এর সাহায্যে নভোমণ্ডলীয় বস্তু (সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র) পর্যবেক্ষণ করা হয়।

-উত্তল লেন্সের উপর ভিত্তি করে ক্যামেরা তৈরি করা হয়

-শক্ত সেলুলয়েডের তৈরি পর্দা/স্বচ্ছ কাঁচ ক্যামেরার ফিল্ম বা আলোকচিত্রগ্রাহী পাতের কাজ করে।

-স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব--২৫ cm

-দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল- . সেকেন্ড।

-চোখে চার ধরনের ত্রুটি দেখা যায় - হ্রস্ব বা ক্ষীণ দৃষ্টি, দীর্ঘ বা দূর দৃষ্টি, বার্ধক্য বা চালশে দৃষ্টি বিষম দৃষ্টি বা নকুলান্ধতা।

-ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন চোখ- দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখে না।

-দীর্ঘ দৃষ্টি সম্পন্ন চোখ কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না।

-হ্রস্বদৃষ্টি (Myopia) চিকিৎসায় উত্তল লেন্স দীর্ঘ দৃষ্টি (Hypernetropia) চিকিৎসায় অবতল লেন্স ব্যবহার করা হয়। চালশে দৃষ্টি (বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিহীনতা) দূর করতে দ্বি-ফোকাস (Bi-focal) লেন্স ব্যবহৃত হয়। নকুলান্ধতা দূর করতে ব্যবহার করা হয়- টরিক লেন্স।

-ফটোগ্রাফিক প্লেটে- সিলভার হ্যালাইড (Agl বা AgBr) এর আবরণ ব্যবহা করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন