কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?,সবাই কেন সবার রক্ত নিতে পারে না?
কে কাকে রক্ত দিতে পারবে?
সবাই সবার রক্ত নিতে পারে না কেন? রক্ত দেওয়ার পদ্ধতিকে বলে রক্ত সঞ্চারণ। যে রক্ত দিচ্ছে, তাকে বলে দাতা, আর নিতে হচ্ছে যাকে, সে গ্রহীতা। রক্ত সঞ্চারণ চিকিৎসার এক গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। কিন্তু দাতার সঙ্গে গ্রহীতার গ্রুপ এক হওয়া চাই। নয়তো নানারকম বিপত্তি দেখা দিবে। তার মধ্যে প্রধান হলো, রক্তের লোহিত কণিকা জমাট বাঁধা এবং তা ভেঙে যাওয়া। রক্তের এক বিশেষ ধর্মকে ভিত্তি করে রক্তকে চারটি গ্রুপ বা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো। A, B, AB ও ০। আমাদের লোহিত রক্ত কণিকায় এক ধরনের শর্করা জাতীয় পদার্থ থাকে। এটি অ্যাগ্লুটিনোজেন। এরা আবার দু'ধরনের, A এবং B। যার লোহিত রক্ত কণিকায় A থাকে তার গ্রুপ A, সে রকম ভাবে B গ্রুপ। আবার যার দুটোই থাকে তার AB, কিন্তু যার কোনোটাই নেই তার গ্রুপ 0। আবার রক্তের প্রাজমায় থাকে অ্যাগলুটিনিন নামে প্রোটিন জাতীয় পদার্থ। যার গ্রুপ A তার রক্তে থাকে অ্যান্টি-B অ্যাগলুটিনিন। সে রকম গ্রুপ B-এর রক্তে অ্যান্টি-A অ্যাগলুটিনিন, AB তে কিছুই থাকে না, আর 0-তে দুটোই। এখন রক্তের গ্রুপ A এমন কোনো লোককে যদি B গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় তাহলে কি হবে? তখন গ্রহীতার রক্তের অ্যান্টি-B অ্যাগ্লটিনিনের সঙ্গে দাতার রক্তের B অ্যাগুটিনোজেন বিক্রিয়া করবে। ফলে লোহিত কণিকা জমাট বাঁধবে এবং এরা ভেঙে যাবে। AB গ্রুপের লোকের রক্তে কোনো অ্যাগ্লটিনিন না থাকায় তারা সবার রক্ত নিতে পারে। তাই তাদের সার্বজীনন গ্রহিতা বলে। আবার O গ্রুপের লোকেদের রক্তে কোনো অ্যাগ্লুটিনোজেন না থাকায় তাদের পক্ষে সবাইকে রক্ত দেওয়া সম্ভব। তাই তারা সার্বজনীন দাতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন