রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

শৈত্য প্রবাহ কোথা থেকে আসে?

শৈত্য প্রবাহ কোথা থেকে আসে?

শৈত্য প্রবাহ কোথা থেকে আসে?


শৈত্য প্রবাহ কোথা থেকে আসে?

প্রতি বছর শীতের সময় আমাদের দেশের ওপর দিয়ে কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় কখনো কখনো এটা বেশ তীব্র হয়। শীতকালে সূর্য বিষুব রেখার দক্ষিণে চলে যায়। আমাদের দেশ বিষুব রেখার উত্তরে, প্রায় সাড়ে ২৩ ডিগ্রি অক্ষাংশে। তাই এখানে শীতকালে। সূর্যকে দক্ষিণে হেলে থাকতে দেখা যায় দিন ছোট, রাত বড় হয়। শীতের প্রকোপ বাড়ে। আমাদের দেশে যখন শীতকাল, পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলো, যেমন অস্ট্রেলিয়ায় তখন গ্রীষ্মকাল। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে বাতাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে উত্তর গোলার্ধ থেকে ঠাণ্ডা বাতাস দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। আমাদের দেশের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা। সেখান থেকে বরফশীতল বায়ু আমাদের দেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। এ জন্যই আমরা দেখি, শীতকালে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। সে সময় আমরা ঘরের উত্তর দিকের জানালা-দরজা বন্ধ রেখে শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করি। এটা সাধারণ শীতের কথা। আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঠাণ্ডা বাতাসের প্রবল প্রবাহ সৃষ্টি হয়। এটাই শৈত্যপ্রবাহ। এটা ক্রমশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সরে যায়। এ সময় বায়ুপ্রবাহের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে এ সময় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়। শৈত্যপ্রবাহ সাধারণত কয়েক দিন থাকে। বায়ুপ্রবাহের গতি কমে গেলে শীত থাকলেও সেটা হাড় কাঁপানো অনুভূতি সৃষ্টি করে না। যেমন, ঢাকায় শীতকালে সাধারণ অবস্থায় তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রিতে নেমে যায় সেটা হয়তো কোনোভাবে সহ্য করা যাবে, কিন্তু যুদি সেই সঙ্গে প্রবল বাতাস থাকে, তাহলে সেই ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মনে হবে যেন হিমশীতল ৬-৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা। কারণ প্রবহমান বাতাস শরীর থেকে অনবরত তাপ শুষে নিয়ে চলে যায় এবং তাই শীতের অনুভূতি তীব্র হয়। এ জন্যই শৈত্যপ্রবাহ শীতের প্রকোপ বাড়ায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন