স্টিফেন হকিং এর জীবনী - স্টিফেন হকিং, ব্লাক হোল ও মহাবিশ্বের উৎপত্তি - Stephen Hawking, Black Holes and the Origin of the Universe |
স্টিফেন হকিং, ব্লাক হোল ও মহাবিশ্বের উৎপত্তি - Stephen
Hawking, Black Holes and the Origin of the Universe
হকিংয়ের কৃষ্ণবিবর
(Stephen Hawking’s Black Holes)
লেকচার হলে
তিলমাত্র
জায়গা
নেই।
লোকে
লোকারণ্য।
বসার
জায়গা
না
পেয়ে
অনেকে
বসে
আছে
মেঝেতে,
আর
অনেকে
দাড়িয়ে
আছে।
সবাই
অপেক্ষা
করছে
একজনের
বক্তৃতা
শোনার
জন্য।
প্রচণ্ড
নামকরা
বিশ্বের
সেরা
প্রতিভাদের
একজন
ইনি।
মঞ্চে
আসতেই
শুরু
হলো
হাততালি।
থামেই
না।
অনেকক্ষণ
পরে
থামল,
আর
শুরু
হলো
বক্তৃতা।
ডায়াসে
কিন্তু
এই
ভদ্রলোক
দাড়াননি।
মানে
দাঁড়াতে
পারেননি,
কারণ
তিনি
বসে
আছেন
একটা
হুইলচেয়ারে।
যেমন
তেমন
চেয়ার
নয়
সেটা,
বহু
যন্ত্রপাতি
আর
কম্পিউটার
লাগানো
আছে
তাতে।
শুরু
হলো
লেকচার
।
কিন্তু
বক্তা
তো
কিছুই
বলছেন
না।
ঠায়
বসে
আছেন।
হুইলচেয়ারে।
ঠোট
নড়ছে
না
এক
চিলতেও।
তার
হয়ে
কম্পিউটার
কথা
বলে
চলেছে
যান্ত্রিক
স্বরে,
দিচ্ছে
লেকচার।
মন্ত্রমুগ্ধ
হয়ে
শুনছে
সবাই,
পিনপতন
নীরবতায়
।
কারণ
এই
মানুষটির
নাম
স্টিফেন
হকিং
(Stephen Hawking)। বিশ্বের সেরা
পদার্থবিজ্ঞানীদের
একজন।
ব্ল্যাক
হোল
(Black Hole) বা
কৃষ্ণবিবরের
অস্তিত্ব
ও
প্রকৃতি
এবং
মহাবিশ্বের
জন্মের
বিগ
ব্যাং
থিওরির
ব্যাপারে
তার
অবদান
চিরস্মরণীয়
হয়ে
আছে।
খুব
অল্প
বয়সে
জটিল
অসুখে
পঙ্গু
হয়ে
গেলেও
তার
গবেষণা
থেমে
থাকেনি,
পঙ্গুত্বকে
জয়
করে
চালিয়ে
গেছেন
বিজ্ঞানের
জগতে
তার
অভিযাত্রা।
সবাই
তাই
মন্ত্রমুগ্ধ
হয়ে
শুনে
চলেছে
হকিংয়ের
লেকচার।
গ্যালিলিওর
উত্তরসূরি
স্টিফেন
হকিংয়ের
জন্ম
লন্ডনে,
১৯৪২
সালের
৮
জানুয়ারি।
নিজের
জন্মদিন
সম্পর্কে
মজা
করে
হকিং
বলেছিলেন,
ঠিক
৩০০
বছর
আগে
১৬৪২
সালের
৮
জানুয়ারি
মারা
গিয়েছিলেন
আধুনিক
পদার্থবিজ্ঞানের
জনক
গ্যালিলিও।
তাই
নিজেকে
গ্যালিলিওর
উত্তরসূরি
বলতেন
হকিং।
তার
বাবা
ছিলেন
চিকিৎসাবিজ্ঞানের
গবেষক।
শুরুতে
অবশ্য
স্কুলের
প্রথাগত
পড়াশোনা
ভালো
লাগত
না
তার।
৯
বছর
বয়সে
স্কুলের
বার্ষিক
পরীক্ষায়
পুরো
ক্লাসে
লাস্ট
হয়েছিলেন।
এরপর
পড়াশোনায়
একটু
মন
দেন,
লাস্ট
থেকে
মাঝামাঝিতে
উঠে
আসতে
পারেন।
তবে
তার
প্রখর
প্রতিভাটা
অন্যভাবে
প্রকাশ
পেতে
শুরু
করে
স্কুলে
থাকতেই।
বন্ধুরা
তাকে
ডাকতেন
আইনস্টাইন
নামে।
মাত্র
১৬
বছর
বয়সে
হকিং
পুরোনো
ঘড়ি
আর
টেলিফোনের
যন্ত্রাংশ
দিয়ে
একটা
কম্পিউটার
বানিয়ে
সবাইকে
তাক
লাগিয়ে
দেন।
বাবা
চেয়েছিলেন
ছেলে
তার
মতোই
চিকিৎসাবিজ্ঞান
নিয়ে
পড়ুক।
বাবা
অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাবেক
ছাত্র
বলে
সেখানেই
পাঠাতে
চেয়েছিলেন
স্টিফেনকে।
কিন্তু
সেখানে
পড়ার
মতো
সামর্থ্য
ছিল
না।
সমস্যা
হয়নি—ভর্তির
জন্য
বৃত্তি
পরীক্ষায়
স্টিফেন
হকিং
ফাটাফাটি
ফলাফল
করেন।
সেই
পরীক্ষার
পদার্থবিজ্ঞানের
অংশে
সর্বোচ্চ
নম্বর
পান
তিনি।
স্টিফেন হকিং, ব্লাক হোল ও মহাবিশ্বের উৎপত্তি - Stephen Hawking, Black Holes and the Origin of the Universe - স্টিফেন হকিং এর জীবনী
দুষ্টু কিশোর
হকিং
মাত্র ১৭
বছর
বয়সে
অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়াশোনা
শুরু
করেন
হকিং।
সেখানে
গিয়ে
হকিংয়ের
ইচ্ছে
হলো,
গণিতে
পড়াশোনা
করবেন।
কিন্তু
সে
সময়ে
সেখানে
গণিতে
সরাসরি
স্নাতক
ডিগ্রি
দেওয়া
হতো
না।
তাই
হকিং
বাধ্য
হয়ে
পড়লেন
পদার্থবিজ্ঞানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
সব
পড়াশোনা
দুধভাতের
মতো
সহজ
লাগত।
তাই
পুরো
বিশ্ববিদ্যালয়
জীবনে
তার
হিসাবে
মাত্র
১
হাজার
ঘণ্টা
পড়াশোনা
করেছিলেন।
শরীরের
শক্তি
বেশি
না
থাকলেও
উৎসাহের
সাথে
অক্সফোর্ডের
দাড়
টানা
নৌকাবাইচ
তথা
রোয়িং
দলে
নাম
লিখিয়েছিলেন।
হকিংয়ের
দায়িত্ব
ছিল
নৌকার
হাল
ধরে
বসে
থাকা
আর
মহা
উত্তেজনার
সাথে
দলের
অন্যদের
উৎসাহ
দেওয়ার
জন্য
গলা
ফাটিয়ে
স্লোগান
দেওয়া।
এসব
করতে
গিয়ে
পড়াশোনায়
প্রভাব
পড়ল।
পদার্থবিজ্ঞানে
বিএসসির
লিখিত
পরীক্ষায়
কোনোমতে
টেনেটুনে
ফেল
থেকে
বাঁচলেন,
কিন্তু
পাস
করতে
হলে
ও
১ম
শ্রেণি
পেতে
হলে
একটা
মৌখিক
পরীক্ষা
দিতে
হবে।
হকিং
অবশ্য
এর
মাঝেই
কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে
পিএইচডি
করার
সুযোগ
পেয়ে
গেছেন।
মৌখিক
পরীক্ষায়
প্রফেসররা
জিজ্ঞেস
করলেন,
হকিংয়ের
ভবিষ্যৎ
প্ল্যান
কী?
হকিং
মজা
করে
বললেন,
আপনারা
আমাকে
ফার্স্ট
ক্লাস
দেন,
আমি
তাহলে
কেমব্রিজে
চলে
যাব,
আমার
দুষ্টুমি
আর
সহ্য
করা
লাগবে
না।
কিন্তু
যদি
সেকেন্ড
ক্লাস
দেন,
তাহলে
আমি
এখানেই
থেকে
যাব,
আর
আগামী
আরও
কয়েক
বছর
আমার
চেহারা
দেখতে
হবে
আপনাদের।
প্রফেসররা
বেশ
মজা
পেলেন
হকিংয়ের
উত্তরে,
আর
তার
সাথে
আরও
আলাপ
করে
বুঝলেন,
হকিং
মজাদার
উত্তর
দিলে
কী
হবে,
তার
মেধা
ও
প্রতিভা
খুবই
প্রখর।
তাই
ফার্স্ট
ক্লাস
অনার্সসহ
বিএসসি
পেলেন
হকিং।
চলে
গেলেন
কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে
পিএইচডি
করতে।
মহাবিশ্বের
অপার
রহস্যের
হাতছানি
কেমব্রিজে
হকিং
কসমোলজি
তথা
মহাবিশ্ববিদ্যা
নিয়ে
পিএইচডি
শুরু
করলেন।
তখনকার
দিনে
মহাবিশ্বের
জন্ম
নিয়ে
দুটি
তত্ত্ব
চালু
ছিল।
একদল
বিজ্ঞানীর
মতে,
মহাবিশ্ব
স্থিতিশীল,
তার
মানে
মহাবিশ্ব
চিরকাল
ধরেই
আছে।
এর
কোনো
জন্ম
বা
সৃষ্টির
মুহূর্ত
বলে
কিছু
নাই।
এই
দলের
প্রবক্তা
ছিলেন
কেমব্রিজেরই
অধ্যাপক
ফ্রেড
হয়েল
(Sir Fred Hoyle)।
আর
অন্য
দলের
মত
ছিল,
মহাবিশ্বের
জন্ম
হয়েছে
অতীতের
কোনো
একটি
মুহুর্তে,
বিশাল
এক
বিস্ফোরণের
মাধ্যমে,
যাকে
বলা
চলে
বিগ
ব্যাং।
হকিংয়ের
পিএইচডি
অ্যাডভাইজর
ছিলেন
বিখ্যাত
কসমোলজিস্ট
ডেনিশ
শিয়ামা
(Dennis William
Siahou Sciama), যিনি বিগ
ব্যাং
থিওরির
পক্ষে
ছিলেন।
হকিং
নিজেও
এ
ব্যাপারে
কাজ
শুরু
করেন,
তার
পিএইচডি
থিসিস
লেখা
শুরু
করেন।
মহাবিশ্বের
জন্মতত্ত্ব
নিয়ে।
হকিংয়ের
মতে,
মহাবিশ্বের
জন্ম
হয়েছিল
বিগ
ব্যাংয়ের
সময়ে
যখন
একটি
বিন্দু
বা
সিঙ্গুলারিটি
থেকে
হঠাৎ
করে
স্থান-কাল
ও
মহাবিশ্বের
সবকিছু
তৈরি
হয়েছিল।
হকিংয়ের
এই
তত্ত্ব
অনেক
বাঘা
বাঘা
বিজ্ঞানীর
স্থিতিশীল
মহাবিশ্ব
তত্ত্বকে
ভুল
প্রমাণ
করে
।
হকিং
ছিলেন
খুবই
আত্মবিশ্বাসী—১৯৬৪
সালে
মাত্র
২২
বছর
বয়সে
তিনি
বিশ্বের
সবচেয়ে
নামকরা
পদার্থবিদদের
একজন
ফ্রেড
হয়েলের
লেকচার
শুনতে
যান।
স্থিতিশীল
মহাবিশ্বের
প্রবক্তা
হয়েল
এই
লেকচারে
তার
মতামত
নিয়ে
কথা
বলছিলেন।
হকিং
দর্শকের
সারি
থেকে
সবার
সামনেই
হয়েলের
সাথে
তর্ক
করেন,
বলেই
বসেন
যে
হয়েলের
তত্ত্বটি
ভুল।
কী
পরিমাণ
আত্মবিশ্বাস
থাকলে
২২
বছরের
একজন
ছাত্র
বিখ্যাত
প্রফেসরের
সাথে
তর্কে
জড়াতে
পারে,
এই
ঘটনা
তারই
প্রমাণ।
ভয়াল অসুস্থতার
দানব
হকিংয়ের সময়টা
খুব
ভালো
কাটছিল।
গবেষণায়
সাফল্য
আসছিল,
নামডাক
বাড়ছিল
পদার্থবিজ্ঞানের
জগতে।
একটি
পার্টিতে
পরিচয়
হলো
জেন
ওয়াইল্ড
নামে
এক
মিষ্টি
মেয়ের
সাথে,
প্রেমেও
পড়ে
গেলেন।
হকিং।
কিন্তু
সুখের
এই
দিনে
হঠাৎ
এল
অশনি
সংকেত—হকিং
খেয়াল
করলেন,
তিনি
খুব
সহজে
আছাড়
খেয়ে
পড়ে
যাচ্ছেন
বা
চলার
সময়ে
নানা
জায়গায়
বাড়ি
খাচ্ছেন।
হাত
আর
পায়ের
মাংসপেশিগুলো
কেমন
যেন
দুর্বল
হয়ে
যাচ্ছে
আর
কাপছে।
শুরুতে
এটাকে
অসাবধানতা
বলে
উড়িয়ে
দিয়েছিলেন।
কিন্তু
একসময়
আর
থাকতে
না
পেরে
ডাক্তার
দেখালেন।
ডাক্তাররা
অনেক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে
থমথমে
মুখে
রায়
দিলেন—হকিংয়ের
অসুখটির
নাম
মোটর
নিউরন
ডিজিজ,
যার
অন্য
নাম
amyotrophic lateral sclerosis (ALS)। এই
অসুখটি
হলে
মস্তিষ্কের
যেসব
নিউরন
বা
স্নায়ুকোষ
দেহের
বিভিন্ন
অঙ্গ
বা
মাংসপেশির
নড়াচড়া
নিয়ন্ত্রণ
করে,
সেগুলো
আস্তে
আস্তে
নষ্ট
হয়ে
যেতে
থাকে।
ফলে
রোগীর
দেহের
বিভিন্ন
অংশ
আস্তে
আস্তে
পক্ষাঘাতগ্রস্ত
হয়ে
যায়,
শুরুতে
হাঁটাচলায়
সমস্যা
হয়,
আস্তে
আস্তে
পঙ্গু
হয়ে
যায়
রোগী,
আর
শেষে
নিশ্বাস
নেওয়ার
ক্ষমতাও
চলে
যায়।
ভয়াবহ
এই
রোগটির
কোনো
কারণ
জানা
নেই,
আর
কোনো
চিকিৎসাও
নেই।
আর
এই
রোগ
যাদের
হয়,
তারা
খুব
বেশি
হলে
২
থেকে
৫
বছরের
মধ্যে
মারা
যায়।
প্রচণ্ড
এই
দুঃসংবাদটি
হকিংয়ের
কাছে
যেন
মৃত্যু
পরোয়ানার
মতো
হয়ে
এল।
মুষড়ে
পড়লেন
হকিং।
এত
গবেষণা,
এত
কাজ,
অথচ
বাঁচবেন
খুব
অল্প
কয়দিন।
ডাক্তাররা
রায়
দিয়ে
দিলেন,
উনি
আর
২
বছর
বড়জোর
বাচবেন।
তাই
পড়াশোনা
বাদ
দিতে
পরামর্শ
দিলেন
তারা।
কিন্তু
পদার্থবিজ্ঞান
হলো
হকিংয়ের
জানপ্রাণ—এ
ছাড়া
কোনোভাবেই
বাঁচবেন
না
তিনি।
তাই
সিদ্ধান্ত
নিলেন,
যত
দিনই
বাঁচেন,
কাজ
করে
যাবেন।
শিক্ষাগুরু
ডেনিস
শিয়ামা
উৎসাহ
দিলেন।
ছড়ি
কিংবা
ক্রাচ
হাতে
কষ্ট
করে
চলে
গবেষণার
কাজ
করতে
লাগলেন
হকিং।
কয়দিন
পর
অবশ্য
সুখবর
পেলেন।
তার
অসুখটি
অন্যান্য
ALS রোগীর
মতো
দ্রুত
দেহের
নানা
অংশে
ছড়াচ্ছে
না।
ফলে
পুরো
দেহ
অবশ
হয়ে
যেতে
অনেক
দিনও
লাগতে
পারে।
হকিং
যেন
দ্বিতীয়
জীবন
হাতে
পেলেন—কষ্ট
করে
হলেও
বিপুল
উদ্যমে
গবেষণা
করে
১৯৬৬
সালে
শেষ
করলেন
তার
পিএইচডি।
থিসিসের
জন্য
পেলেন
অ্যাডামস
প্রাইজ।
ব্ল্যাক হোলের
রহস্য
হকিংয়ের ক্যারিয়ারের
শুরুর
খুব
বড়
একটা
আবিষ্কার
হলো
ব্ল্যাক
হোলের
গতিপ্রকৃতি
বের
করা।
ব্ল্যাক
হোল
বা
কৃষ্ণবিবর
হলো
মহাবিশ্বের
এক
অদ্ভুত
জিনিস—একটি
বিশাল
নক্ষত্রের
যাবতীয়
পদার্থ
ভর
যদি
একটি
বিন্দুতে
সংকুচিত
করে
আনা
হয়,
সেটাই
হয়ে
যায়
ব্ল্যাক
হোল।
সর্বগ্রাসী
এই
ব্ল্যাক
হোল
আশপাশের
সবকিছু
গিলে
খেতে
থাকে।
ব্ল্যাক
হোল
তথা
কৃষ্ণবিবরের
মধ্যে
একবার
কিছু
পড়লে
সেটা
আর
রক্ষা
পায়
না,
বিলীন
হয়ে
যায়
ব্ল্যাক
হোলের
ভেতরে।
একটি
ক্ষুদ্র
বিন্দু
আকারের
ব্ল্যাক
হোল
এভাবে
আমাদের
সূর্যের
চেয়েও
বড়
নক্ষত্রের
সমান
ভরের
অধিকারী
হতে
পারে।
আর
ভর
বেশি
বলে
এদের
অভিকর্ষ
বা
গ্রাভিটির
শক্তিও
প্রচণ্ড
হয়,
এতই
শক্তিশালী
যে
তাদের
পাশ
দিয়ে
আসার
সময়ে
দূরের
নক্ষত্রের
আলোও
বেঁকে
যায়।
আর
এদের
ব্ল্যাক
হোল
বলা
হয়
এই
কারণেই—আলোকেও
শুষে
নিতে
পারে
বলে
এরা
অদৃশ্য
অন্ধকার
বিন্দু
হয়ে
থাকে
মহাবিশ্বে।
বিজ্ঞানীরা
অনেক
দিন
ধরেই
ব্ল্যাক
হোলের
অস্তিত্ব
থাকতে
পারে,
তেমনটা
আন্দাজ
করছিলেন।
কিন্তু
ব্ল্যাক
হোলের
প্রকৃতি
নিয়ে
তেমন
কিছু
আন্দাজ
করা
সম্ভব
হয়নি।
পুরো
ব্যাপারটা
পাল্টে
দিলেন
হকিং
তার
গবেষণায়।
ব্ল্যাক
হোলের
গতিপ্রকৃতি
নিয়ে
৪টি
সূত্র
বের
করলেন।
১৯৭৪
সালে
হকিং
আবিষ্কার
করলেন,
ব্ল্যাক
হোল
আসলে
পুরোপুরি
কৃষ্ণ
না।
সেখান
থেকে
রেডিয়েশন
বা
বিকিরণ
হতে
পারে।
হকিং
হিসাব
করে
দেখালেন
কেমন
হবে
এই
বিকিরণ।
তার
নামে
এর
নাম
দেওয়া
হলো
হকিং
রেডিয়েশন
(Hawking radiation)। এটাকে ধরা
হয়
কসমোলজির
ইতিহাসে
যুগান্তকারী
এক
আবিষ্কার।
হকিংয়ের
খ্যাতি
এবারে
ছড়িয়ে
পড়ল
বিশ্বজুড়ে।
১৯৭৪
সালে
মাত্র
৩২
বছর
বয়সে
হকিং
নির্বাচিত
হলেন
রয়াল
সোসাইটির
ফেলো
হিসেবে।
মহাবিশ্বের জন্মের সময়
১৯৭৫ সালে
হকিং
ফিরে
এলেন
কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেখানে
অধ্যাপক
হিসেবে
নিয়োগ
পেলেন।
১৯৭৯
সালে
পেলেন
বিশাল
এক
সম্মাননা—তাকে
লুকাসিয়ান
প্রফেসর
অব
ম্যাথমেটিকস
পদে
নিয়োগ
করা
হলো।
এই
সম্মানসূচক
খেতাবটি
একসময়
পেয়েছিলেন
খোদ
স্যার
আইজ্যাক
নিউটন।
হকিং
ইতিমধ্যে
নজর
দিয়েছেন
মহাবিশ্বের
জন্মের
ক্ষণের
দিকে।
বিগ
ব্যাংয়ের
মাধ্যমে
মহাবিশ্বের
সূচনা
মুহূর্তে
ঠিক
কী
ঘটেছিল,
সেটারই
ধারণা
দিলেন
হকিং।
আরেকটা
প্রশ্ন
অনেকেরই
ছিল,
এই
বিগ
ব্যাংয়ের
আগে
কী
ছিল।
হকিং
দেখালেন,
আমাদের
সময়ের
ধারণাটাই
শুরু
হয়েছে
মহাবিশ্বের
সৃষ্টির
সাথে
সাথে।
মানে,
বিগ
ব্যাংয়ের
আগে
সময়
বলে
কিছুই
ছিল
না,
ফলে
বিগ
ব্যাংয়ের
অতীত
বলে
কিছুই
নেই।
হকিং
তার
এই
আবিষ্কারের
জন্য
অনেকগুলো
পুরস্কার
পেলেন।
কিন্তু
তার
পরিবারে
তখন
অর্থের
কিছুটা
টানাটানি
চলছে।
অধ্যাপনা
করে
বেতন
যা
পান,
তার
চিকিৎসাতেই
খরচ
হয়ে
যায়।
তাই
ঠিক
করলেন,
মহাবিশ্বের
জন্ম
নিয়ে
একটি
বই
লিখবেন,
আমজনতার
জন্য।
প্রায়
৬
বছর
ধরে
কাজ
করে
লিখলেন।
তার
সেই
বিখ্যাত
বইটি—‘A
Brief History of Time' বা কালের সংক্ষিপ্ত
ইতিহাস।
A Brief History of Time - স্টিফেন হকিংয়ের লেখা এ ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম বইয়ের প্রচ্ছদ
চিত্র ৩৬ : হকিংয়ের লেখা এ ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম বইয়ের প্রচ্ছদ।
বইটি প্রকাশ
হলো
১৯৮৮
সালে,
আর
প্রকাশের
সাথে
সাথেই
ব্যাপক
সাড়া
পড়ে
গেল
সারা
বিশ্বে।
পুরো
বইটি
খুব
সহজ
ভাষায়
লিখেছিলেন
হকিং,
যেন
সবাই
বুঝতে
পারেন
পদার্থবিজ্ঞানের
জটিল
সব
তত্ত্ব।
আর
পুরো
বইয়ে
ইচ্ছে
করেই
একটি
মাত্র
সমীকরণ
ব্যবহার
করেছিলেন,
যাতে
করে
গণিত
না
জেনেও
যে
কেউ
বইটা
বুঝতে
পারে।
সমীকরণটি
হলো
সবার
পরিচিত
আইনস্টাইনের
সেই
সমীকরণ
E=mc2।
বইটি
অভাবনীয়
জনপ্রিয়তা
পেল
সারা
বিশ্বে,
নিউইয়র্ক
টাইমস-এর
বেস্ট
সেলার
লিস্টে
রেকর্ড
২৩৭
সপ্তাহ
ধরে
থাকল।
লন্ডন
টাইমসের
বেস্ট
সেলার
লিস্টে
ছিল
টানা
৪
বছর।
এখন
পর্যন্ত
বইটির
১
কোটি
কপি
বিক্রি
হয়েছে,
৪০টিরও
বেশি
ভাষায়
অনূদিত
হয়েছে
বইটি।
ইতিহাসে
সর্বাধিক
বিক্রি
হওয়া
বিজ্ঞানের
ওপরে
বই
এটি।
হকিং মহাবিশ্বকে
নিয়ে
তার
গবেষণা
অব্যাহত
রেখেছেন
সারা
জীবন।
কৃষ্ণবিবর
বা
ব্ল্যাক
হোলের
অস্তিত্ব
নিয়ে
আগে
সন্দেহ
থাকলেও
সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে
সব
সন্দেহ
দূর
হয়ে
গেছে—বিজ্ঞানীরা
ব্ল্যাক
হোলের
অস্তিত্বের
সুস্পষ্ট
প্রমাণ
পেয়েছেন।
আর
ব্ল্যাক
হোল
নিয়ে
হকিং
যা
যা
তত্ত্ব
আবিষ্কার
করেছেন,
তার
প্রায়
সবগুলোরই
প্রমাণ
মিলেছে।
যন্ত্রের কণ্ঠস্বর
হকিংয়ের
অসুস্থতা
তার
জীবনজুড়েই
আস্তে
আস্তে
বেড়েছে।
কেমব্রিজে
অসুস্থতার
শুরুতে
ক্রাচে
ভর
করে
চলতে
পারতেন।
আস্তে
আস্তে
পঙ্গুত্ব
বাড়তে
থাকে।
ক্রাচ
ছেড়ে
নিতে
হয়
হুইলচেয়ার।
হকিংয়ের
জন্য
বানানো
হয়েছিল
বিশেষ
রকমের
একটি
ইলেকট্রিক
হুইলচেয়ার।
পঙ্গুত্বের
কারণে
হকিংয়ের
সারা
দেহ
আস্তে
আস্তে
অবশ
হয়ে
আসে।
একপর্যায়ে
কেবল
হাতের
একটি
বা
দুটি
আঙুল
অল্প
করে
নাড়তে
পারতেন।
হুইলচেয়ারে
ব্যবস্থা
রাখা
হলো
যাতে
করে
সেই
অল্প
একটু
আঙুল
নাড়িয়েই
হুইলচেয়ারটি
চালানো
যায়।
কিন্তু
কথা
বলার
কী
হবে?
অথবা
লেখালেখি?
অসুস্থতার
মরণ
ছোবলে
হকিংয়ের
কথা
বলার
ক্ষমতাও
লোপ
পেতে
থাকে।
শুরুতে
অস্পষ্ট
অবোধ্য
স্বরে
হকিং
বলতেন
কথা।
কোথাও
লেকচার
দেওয়ার
সময়ে।
সাথে
করে
একজন
ছাত্রকে
নিয়ে
যেতেন,
যার
কাজ
ছিল
হকিংয়ের
কথাকে
মাইকে
পুনরাবৃত্তি
করা।
কিন্তু
১৯৮৫-এ
সুইজারল্যান্ডের
আণবিক
গবেষণাগার
সার্ন
(CERN)-এ
যাওয়ার
সময়
নেমে
এল
মহাবিপদ।
ঠান্ডা
লেগে
হকিং
আক্রান্ত
হলেন
নিউমোনিয়ায়।
নিশ্বাস
বন্ধ
হয়ে
মৃত্যুর
দ্বারপ্রান্তে
পৌছে
গেলেন।
লাইফ
সাপোর্টে
থাকা
হকিংয়ের
মৃত্যু
নিশ্চিত
সেই
রায়
দিয়ে
দিলেন
ডাক্তাররা।
বাঁচানোর
শেষ
উপায়
হলো
ট্রাকিয়াটমি
করে
গলার
মধ্যে
ছিদ্র
করে
দেওয়া,
যাতে
হকিং
সেই
জায়গা
দিয়ে
শ্বাস
নিতে
পারেন।
সে
যাত্রা
হকিং
বেঁচে
গেলেন
কিন্তু
হারালেন
কথা
বলার
ক্ষমতা।
হকিংয়ের
সাহায্যে
এগিয়ে
এলেন
প্রকৌশলীরা।
একটা
স্পিচ
সিন্থেসাইজার
(Speech Synthesizer) কম্পিউটার বানানো হলো।
হকিং এক
আঙুলে
বাটন
চেপে
শব্দ
বেছে
নিতে
পারতেন,
এভাবে
আস্তে
আস্তে
পুরো
একটি
বাক্য
লেখা
হলে
কম্পিউটারটি
যান্ত্রিক
স্বরে
সেটা
পড়ে
দিত।
হকিং
এভাবেই
লেকচার
দিতেন
সবখানে,
তার
হয়ে
কম্পিউটার
পড়ে
দিত
সবকিছু।
২০০৫
সাল
নাগাদ
হকিংয়ের
আঙুলটিও
অবশ
হয়ে
আসে।
তখন
বিজ্ঞানীরা
এমন
একটি
সিস্টেম
বানালেন
যাতে
হকিংয়ের
গালের
মাংসপেশির
কম্পন
থেকে
সিগন্যাল
নিয়ে
অক্ষর
বা
শব্দ
নির্বাচনের
মাধ্যমে
লেখালেখির
কাজটা
করা
যায়। জীবনের শেষ
সময়
অবধি
হকিং
এভাবেই
লেখালেখি
আর
গবেষণার
কাজটা
চালিয়ে
গেছেন।
জীবনাবসান ২০১৮
সালের
১৪
মার্চ
লন্ডনে
নিজ
গৃহে
হকিংয়ের
জীবনাবসান
ঘটে।
হকিং
জন্মেছিলেন
গালিলিওর
জন্মের
৩০০তম
বার্ষিকীতে,
আর
মারা
যান
আইনস্টাইনের
জন্মের
১৩৯তম
বার্ষিকীতে।
পদার্থবিজ্ঞানের
এক
উজ্জ্বল
নক্ষত্রের
বিদায়
হলো,
কিন্তু
রয়ে
গেল
তার
অসাধারণ
সব
তত্ত্ব—এই
মহাবিশ্বকে
জানতে,
বুঝতে
যা
আজও
সাহায্য
করছে
আমাদের।
মজার মানুষ
হকিং
হকিংয়ের
সারা
জীবন
কিন্তু
কেবল
পড়াশোনা
আর
গবেষণাতেই
কাটেনি।
অনেক
কষ্ট
সত্ত্বেও
হাসিখুশি
মানুষ
ছিলেন
হকিং।
মজা
করতেন
প্রায়ই।
হুইলচেয়ারে
বন্দী
হলেও
সেই
হুইলচেয়ার
দিয়ে
নেচে
বেড়াতেন,
রেস
করতেন।
একবার
হকিংকে
ডাকা
হলো
রয়াল
সোসাইটির
এক
অনুষ্ঠানে।
সেখানে
খোদ
প্রিন্স
চার্লসকে
রয়াল
সোসাইটির
সদস্য
করা
হচ্ছে
ইংল্যান্ডের
প্রথা
অনুযায়ী।
হকিংও
একই
মঞ্চে।
রাজপুত্র
চার্লস
হকিংয়ের
হুইলচেয়ার
দেখে
আগ্রহ
দেখালেন।
সেটা
কীভাবে
কাজ
করে
দেখতে
চাইলেন।
হকিং
এই
সুযোগের
অপেক্ষাতেই
ছিলেন।
মঞ্চের
মধ্যে
হুইলচেয়ারটা
দিয়ে
রীতিমতো
নেচে
বেড়ালেন।
আর
একপর্যায়ে
দুষ্টু
হাসি
হাসতে
হাসতে
রাজপুত্র
চার্লসের
পা
মাড়িয়ে
দিলেন
হুইলচেয়ারের
চাকা
দিয়ে।
সবাই
আঁতকে
উঠলেও
প্রিন্স
চার্লস
ব্যাপারটাতে
বেশ
মজাই
পেলেন।
আরেকবার হকিং
গেছেন
টিভিতে
ইন্টারভিউ
দিতে।
তাঁকে
ড্রেসিং
রুমে
রেখে
টিভির
লোকজন
গেছেন
অন্য
কক্ষে।
ফিরে
দেখলেন
তারা,
হকিং
হুইলচেয়ারে
কাত
হয়ে
পড়ে
আছেন।
যেন
মারা
গেছেন
এমন
ভাব।
সবাই
ভয়
পেয়ে
দৌড়ে
এল
দেখতে।
কিন্তু
এ
কী,
হকিং
সোজা
হয়ে
বসলেন
তক্ষুনি
আর
হা
হা
করে
হাসতে
লাগলেন।
সবাইকে
ভয়
দেখিয়ে
কী
মজাটাই
না
পেলেন
তিনি।
বিজ্ঞানের
খটোমটো
বিষয়
নিয়েই
কেবল
হকিং
লেখালেখি
করেননি—এর
সাথে
সাথে
মেয়ে
লুসি
হকিংয়ের
সাথে
মিলে
লিখেছেন
বাচ্চাদের
জন্য
৫টি
বই।
এই
মজাদার
বইগুলোতে
বিজ্ঞানের
নানা
বিষয়
শিশুদের
উপযোগী
করে
তুলে
ধরেছেন
তিনি।
মহাবিশ্ব
নিয়ে
হকিং
কাজ
করেছেন
সারা
জীবন,
আজীবন
তাই
স্বপ্ন
ছিল
মহাকাশে
যাওয়ার।
কিন্তু
শারীরিক
সমস্যার
কারণে
সেই
স্বপ্ন
তো
আর
সত্যি
হওয়ার
নয়।
২০০৬
সালে
বিবিসিকে
দেওয়া
এক
সাক্ষাৎকারে
হকিং
তার
এই
পূর্ণ
স্বপ্নের
কথা
বলেছিলেন।
হকিংয়ের
এই
স্বপ্নের
কথা
জেনে
এগিয়ে
এলেন
ব্রিটিশ
শিল্পপতি
রিচার্ড
ব্র্যানসন।
হকিংকে
মহাকাশে
পাঠানোর
প্রস্তাব
দিলেন—ব্র্যানসনের
কোম্পানি
ভার্জিন
গ্যালাক্টিক
যখন
মহাকাশে
যাত্রী
পাঠাবে
ভবিষ্যতে,
সেই
ফ্লাইটে
হকিংকে
ফ্রি
টিকিট
দেবেন
ব্র্যানসন।
আর
নাসার
নভোচারীরা
প্রশিক্ষণের
জন্য
এক
বিশেষ
বিমানে
করে
অনুশীলন
করেন।
সেই
বিমানটি
অনেক
উচ্চতায়
উঠে
তার
পরে
বিশেষ
কায়দায়
উড়তে
থাকলে
খুব
অল্প
সময়ের
জন্য
বিমানের
ভেতরের
যাত্রীদের
মাধ্যাকর্ষণহীনতার
অনুভূতি
হয়,
মানে
তারা
মহাকাশের
মতোই
ভাসতে
পারেন
প্লেনের
ভেতরের।
সেই
বিমানে
হকিংকে
নিয়ে
যাওয়া
হলো।
২০০৭
সালের
২৬
এপ্রিল
হকিং
ভাসলেন
মাধ্যাকর্ষণহীনভাবে,
পঙ্গু
দেহটি
আর
বাধা
হয়ে
থাকল
না
তার,
অল্প
কিছুক্ষণের
জন্য
হলেও।
Physicist Stephen Hawking in Zero Gravity NASA - স্টিফেন হকিং এর জীবনী - life of Stephen Hawking |
চিত্র ৩৭: জিরো-জি বিমানের ভেতরে মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থায় ভাসছেন হকিং। মুখের হাসিটাই বলে দিচ্ছে শিশুদের মতো কতটা আনন্দ পেয়েছেন তিনি।
হকিংয়ের বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা আর পঙ্গুত্বকে জয় করে তার এগিয়ে যাওয়ার কাহিনিতে অনুপ্রাণিত হয়েছে প্রচুর মানুষ। নানা টিভি সিরিজ ও সিনেমায় তাকে অতিথি শিল্পী করে আনা হয়েছে। সিম্পসন্স, ফিউচারামার মতো কার্টুন, স্টার ট্রেকের মতো সায়েন্স ফিকশন সিরিজ। এগুলো ছাড়াও সাম্প্রতিক কালের অতি জনপ্রিয় সিটকম দ্য বিগ ব্যাং থিওরিতেও এসেছেন তিনি। খুব কম বিজ্ঞানীই জীবদ্দশায় পান এতটা সম্মান। স্টিফেন হকিং আমাদের সময়ের সেরা প্রতিভাদের একজন। ভয়াল এএলএসের মতো অসুখ তাঁকে দমাতে পারেনি। প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ়প্রত্যয়ে তিনি কাজ করে গেছেন, সমাধান বের করেছেন। মহাবিশ্বের অমোঘ সব রহস্যের। হকিং আমাদের মাঝে আর নেই আজ, কিন্তু তার রেখে যাওয়া বিজ্ঞানময় জীবন এখনো অনুপ্রাণিত করে চলেছে বিশ্বের বহু মানুষকে। মহাবিশ্বকে আরও জানতে পারছি এত ভালো করে, এই অকুতোভয় বিজ্ঞানমনা প্রতিভাধর মানুষটির জন্যই।
Tags: স্টিফেন হকিং এর জীবনী, স্টিফেন হকিং ও ব্লাক হোল, স্টিফেন হকিং ও মহাবিশ্বের উৎপত্তি, Stephen Hawking, Black Holes and the Origin of the Universe, A Brief History of Time
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন